বাবা কোটিপতি হলেও ছেলেকে পাঠালেন সাধারণের মত কাজ করতে

ভারতের গুজরাটের সুরাটভিত্তিক কোম্পানি হরে কৃষ্ণ ডায়মন্ডের ব্যবসায়ী সাভজি ঢোলাকিয়া তাঁর একমাত্র ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে এমবিএ-র ছাত্র দ্রাভিয়া ঢোলাকিয়াকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন। কী সেই চ্যালেঞ্জ? পুরো একমাস বাবার পরিচয় ছাড়া কর্মসংস্থান এবং সাধারণের মত জীবনযাপন করা।

কেন এমনটা করলেন সাভজি ঢোলাকিয়া? সাভজি ঢোলাকিয়া হীরা ব্যবসায়ী। বিশ্বের একাত্তরটি দেশে তাঁর ব্যবসা রয়েছে। তাঁর কোম্পানীর সম্পত্তির পরিমাণ ছহাজার কোটি ভারতীয় রুপি। তিনি চাননি তাঁর একমাত্র ছেলে আরাম-আয়েশের বিলাসিতার জীবনে গা ভাসিয়ে দিক। বাবা হিসেবে চাওয়া ছিল তাঁর সন্তান যেন নিজের পায়ে দাঁড়ায়। যাতে জীবন সংগ্রাম বুঝতে এবং জীবনের দক্ষতাগুলো শিখতে পারে।

ছেলে দ্রাভিয়া ঢোলাকিয়া সম্প্রতি ছুটি কাটাতে ভারতে আসলে তাঁর বাবা বলেন, বাবার পরিচয় ও মোবাইল ফোন ছাড়া পুরো এক মাস স্ব-উপার্জনে জীবনযাপন করতে। তাঁর আরও শর্ত ছিল কোনও জায়গায় এক সপ্তাহের বেশি কাজ করা যাবে না। তিনি ছেলেকে মাত্র সাত হাজার রুপি দেন শুধুমাত্র প্রয়োজন পড়লেই খরচ করার জন্যে। বাবার দেওয়া চ্যালেঞ্জ মেনে নেন দ্রাভিয়া।

দ্রাভিয়া সিদ্ধান্ত নিলেন কেরালার কোচিতে যাবেন। যেটি ছিল তার কাছে অপরিচিত এবং ভাষাও ছিল নতুন। ২১ জুন তিন জোড়া জামা-প্যান্ট আর বাবার দেওয়া সাত হাজার রুপি নিয়ে কোচি পৌঁছান দ্রাভিয়া। কোচি যাওয়ার পর কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয় তাকে। সম্পূর্ণ অপরিচিত জায়গায় পাঁচদিন পর্যন্ত কোনও চাকরি বা থাকার উপযুক্ত কোনও জায়গায় পাননি এমনকি চাকরির জন্য ষাটটি জায়গায় চেষ্টাও করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। জীবনের প্রথম চাকরিটি পান একটি বেকারিতে। এরপর একে একে কল সেন্টার, জুতার দোকান এবং রেস্টুরেন্টে কাজ নেন তিনি। এক বেলার খাবার যোগাড় করতে চল্লিশ এবং থাকার জন্য প্রতিদিন তাকে আরও আড়াইশ টাকা হোটেল-ভাড়া গুনতে হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত বাবার দেওয়া চ্যালেঞ্জে জয়ী হয়ে এবং এক মাসে চার হাজার টাকার চেয়ে একটু বেশি টাকা উপার্জন করে বাড়ি ফিরেছেন দ্রাভিয়া। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আপনি আরও পড়তে পারেন

বেলুনে চড়ে পৃথিবী ঘুরে বেড়ালেন একজন!

'নির্দোষ' প্রমাণিত হলেন দার্শনিক সক্রেটিস

কোটিপতি মালালা

বেতন ১২ লক্ষ টাকা, কাজ বাসন মাজা!

জরিমানা করা হল প্রধানমন্ত্রীকে