আপনি পড়ছেন

করোনাকালের এই দুঃসময়ে দেশের জন্য আরো একটি দুঃসংবাদ। সৌদি আরব ১০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাতে চায়। গতমাসেই দূতাবাসের মাধ্যমে তারা বিষয়টি সরকারকে জানিয়েছে। এজন্য তারা বাংলাদেশ সরকারকে রীতিমতো বাধ্য করছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, একসঙ্গে এত মানুষ ফেরত আনা সম্ভব নয়।

saudi bdworkerসৌদি আরব থেকে ১০ লাখেরও বেশি শ্রমিককে দেশে ফেরত আসতে হবে

বিষয়টা অবশ্য একদম নতুন নয়। সৌদি আরব যখন রূপকল্প-২০২৩ গ্রহণ করে তখন থেকেই বাংলাদেশকে এ বিষয়ে তাগাদা দিয়ে আসছে। কারণ তাদের রূপকল্প অনুযায়ী, দেশের কর্মক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ থাকবে সৌদি নাগরিক। কিন্তু বিষয়টি ততটা সহজ নয় কারণ সৌদি নাগরিকদের অধিকাংশই কাজ করতে চায় না। তারপরও দেশটির সরকার পরিকল্পনা নিয়েছে, বছরে অন্তত ৫ শতাংশ করে হলেও সৌদি নাগরিকে কর্মক্ষেত্রে নিয়ে আসা হবে।

সৌদি সরকার ইতোমধ্যেই তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করে দিয়েছে। কাজে নেমে পড়েছেন অনেক সৌদি নাগরিক। তাই ধীরে ধীরে বিদেশি শ্রমিকদেরকে ফেরত পাঠাচ্ছে দেশটি। এরমধ্যেই আবার হানা দিল করোনাভাইরাস, পড়ে গেছে তেলের দাম। এমতাবস্থায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের ফেরত পাঠাতে তোড়জোড় শুরু করেছে সৌদি আরব।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারের অবস্থা শোচনীয়। বিশেষকরে সৌদি আরব, সেদেশে অবস্থানরত আমাদের শ্রমিকদের ফেরত পাঠাতে অনবরত তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে তারা। ঠিক কত মানুষ ফেরত আসবে, তা ভাবতেও পারছি না। তারা রাখতে না চাইলে আমরা অবশ্যই আমাদের শ্রমিকদের ফেরত নিয়ে আসবো, তবে সেটা একসঙ্গে নয়। এ ব্যাপারে আমরা তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো অবৈধ কর্মীদের নিবন্ধন করতে বলেছে। এজন্য কোনো জরিমানা দিতে হবে না। ওই নিবন্ধন অনুযায়ী তারা শ্রমিকদেরকে দেশে পাঠিয়ে দেবে। দেশে ফিরতে কোনো খরচও লাগবে না, তারাই সব ব্যবস্থা করবে। এই ঘোষণার পর শ্রমিকদের অনেকেই নিবন্ধন করছেন। তাদেরকে একটি ক্যাম্পে নিয়ে রাখা হচ্ছে। করোনার সঙ্কট শেষ হলে সেখান থেকে ধীরে ধীরে তাদেরকে দেশে পাঠানো হবে।