করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। ভাইরাসপ্রতিরোধী ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এদিকে আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিন উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে অংশীদারত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো।

corona vaccineভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্তমানে চারটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কর্মসূচিকে অপারেশন র‍্যাপ স্পিড প্রোগ্রামের আওতায় আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি উৎপাদন কারখানার সুবিধা বাড়ানো ও কাঁচামাল সংগ্রহেও কোম্পানিগুলোকে সাহায্য করা হচ্ছে। আগামী বছর নাগাদ ৩০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এ সহায়তা দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।

কবে নাগাদ ভ্যাকসিনের বিভিন্ন উপাদান উৎপাদন ও প্রস্তুতের কাজ শুরু হবে, সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিন উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে। তবে গ্রীষ্মের শেষে পূর্ণাঙ্গ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

corona us vaccine

তিনি বলেন, দ্রুতগতিতে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। ইতিহাসে এমনটা আগে কখনো হয়নি। থেরাপিও দ্রুত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো প্রতিষ্ঠানে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য তহবিল জোগানো হবে।

যে চার কোম্পানির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অংশীদারত্ব রয়েছে সেগুলো হলো- জনসন অ্যান্ড জনসন, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও নোভাভ্যাক্স। তাদের কয়েক মিলিয়ন থেকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

এ ছাড়া রিজেনেরন ফার্মাসিউটিক্যাল নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে করোনার থেরাপি উদ্ভাবনের জন্য ৪৫ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে মার্কিন প্রশাসন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফল পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে।

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.