দনবাসে দ্বিগুণ চাপ সৃষ্টি রুশ বাহিনীর, উভয়পক্ষে হতাহত

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দনবাস অঞ্চলে যুদ্ধের চাপ দ্বিগুণ করেছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী কিছু স্থানে রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করার দাবি করেছে। যুদ্ধে উভয় পক্ষই হতাহতের খবর দিয়েছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, সৈন্যরা শত্রুবাহিনীকে স্লোভিয়ানস্কের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিয়েছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

যুদ্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত যান

স্লোভানিয়াস্ক শহরটি দোনেৎস্কের একটি শহর। ইতোমধ্যে রাশিয়া দনবাসের দুটি প্রদেশের একটি লুহানস্ক দখল করে নিয়েছে। বলা হচ্ছে, রাশিয়ার সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে ইউক্রেনের দ্বিতীয় শহর খারকিভের উত্তরে একটি শহর ও গ্রামে রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় জানিয়েছে, বেশিরভাগ বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে দোনেৎস্ক প্রদেশে। প্রদেশটির গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো বলেছেন, আভদিভকা শহরে দুজন মানুষ মারা গেছে। স্লোভিয়ানস্ক, ক্রাসনোহরিভকা এবং কুরাখোভ শহরের প্রতিটিতে একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে স্লোভিয়ানস্ক থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ অব্যাহত রয়েছে। কারণ রাশিয়ান সৈন্যরা দনবাস অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে পূর্ব ইউক্রেনীয় শহরের দিকে প্রচণ্ড চাপ দিচ্ছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে স্লোভিয়ানস্কে ব্যাপক বোমা হামলা হয়েছে।

শহরটির মেয়র ভাদিম লিয়াখ বলেছেন, ১ লাখ ১০ হাজার লোকের মধ্যে মধ্যে এখনও প্রায় ২৩ হাজার লোক স্লোভিয়ানস্কে রয়েছেন। তবে রাশিয়া শহরটিকে এখনও ঘিরে ধরতে পারেনি। শহরটির ১৭ জন বাসিন্দা নিহত ও ৬৭ জন আহত হয়েছেন।

মেয়র বলেন, প্রতিদিন বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অনেককে বাসে করে আরও পশ্চিমে ডিনিপ্রো শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শহরটি এখনও ভালভাবে সুরক্ষিত। ডিনিপ্রো শহরের দিকে রাশিয়া সহজে অগ্রসর হতে পারবে না।

প্রদর্শনীতে ক্ষতিগ্রস্ত রাশিয়ান ট্যাংক: পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশের ঐতিহাসিক ক্যাসেল স্কোয়ারে দর্শনার্থীদের জন্য দুটি যুদ্ধবিধ্বস্ত রাশিয়ান সাঁজোয়া যান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি টি-৭২ ট্যাঙ্ক এবং অন্যটি হল ২এস১৯ স্ব-চালিত হাউইটজার। এগুলো কিয়েভ এবং উত্তরাঞ্চলীয় শহর খারকিভের কাছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর আঘাতে ধ্বংস হয়েছিল।

পোলিশ এবং ইউক্রেনীয় সরকারের যৌথ উদ্যোগে এগুলো প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রদর্শনীর বার্তাটি হল, ইউক্রেনীয়রা কেবল তাদের নিজের দেশে স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র রক্ষা করছে না বরং সমগ্র ইউরোপের জন্যও তারা লড়ছে।