ঐতিহাসিক বিমান হামলায় খালাস পাওয়া ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

১৯৮৫ সালের ২৩ জুন বোমা হামলায় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে থাকা ৩৩১ জন যাত্রী ও ক্রু নিহত হয়। এই মামলায় খালাস পাওয়া একজন ব্যক্তিকে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারে শহরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তি হলেন রিপুদমন সিং মালিক। তিনি ও অপর আসামি অজাইব সিং বাগরি ২০০৫ সালে ওই মামলা থেকে খালাস পান। কানাডা কর্তৃপক্ষের দাবি, বিমান হামলার ঘটনার সাথে এই হত্যাকাণ্ডের যোগসূত্র থাকতে পারে। ডিডব্লিউ, টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

রিপুদমন সিং মালিক

পুলিশ প্রাথমিকভাবে মৃত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেনি, তবে মালিকের ছেলে জসপ্রীত মালিক সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতিতে তার বাবাকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, মিডিয়া সবসময় তাকে এয়ার ইন্ডিয়া বোমা হামলার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসাবে উল্লেখ করেছে। মিডিয়া এবং আরসিএমপি কখনই আদালতের ‘খালাস’ সিদ্ধান্তকে মেনে নেবে বলে মনে হয় না। তবে তাকে গুলি করে হত্যার ঘটনাটি ওই বিমান হামলার সাথে সম্পর্কযুক্ত বলে মনে করি না।

সারে শহরে গাড়ি ধোয়ার কাজ করা একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, তিনি বৃহস্পতিবার সকালে গুলির শব্দ শুনেছেন এবং মালিককে তার গাড়িতে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। ইন্টিগ্রেটেড হোমিসাইড ইনভেস্টিগেশন টিম জানিয়েছে, গুলি চালানোর জন্য ব্যবহৃত একটি গাড়ি কয়েক ব্লক দূরে আগুনে পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সেই বিমান হামলা: আয়ারল্যান্ডের উপকূলে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৮২-এ বোমা হামলায় ৩২৯ জন যাত্রী এবং ক্রুকে হত্যা করেছিল। হামলাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার আগে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা ছিল বলে মনে করা হয়। একই সময় জাপানের নারিতা বিমানবন্দরে আরেকটি বোমা বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটেছিল।

উভয় হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত স্যুটকেস পরবর্তীতে ভ্যাঙ্কুভারে খুঁজে পাওয়া যায়, যেখানে একটি বিশাল শিখ অভিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস ছিল। ওই বিমান হামলাটি এমন সময় ঘটেছিল, যখন একটি স্বাধীন স্বদেশের জন্য লড়াইরত শিখদের ওপর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ক্র্যাকডাউন চালাচ্ছিল। পরে কানাডিয়ান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১০ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছিল।