সুনাক: ‘পাঁচ ফ্রন্টে’ জরুরি অবস্থার মুখে যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। গতকাল শুক্রবার টাইমসকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ঋষি সুনাক। তিনি বলেছেন, যুক্তরাজ্য পাঁচ ফ্রন্টে জাতীয়ভাবে জরুরি অবস্থার মুখোমুখি। সরকারের কার্যভার গ্রহণ করতে পারলে প্রথম দিন থেকে সংকট উত্তরণে কাজ করবো। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ঋষি সুনাক

যে পাঁচ ফ্রন্টে জরুরি অবস্থার কথা বলেছেন সুনাক, সেগুলো হলো- অর্থনীতি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, অভিবাসন সংকট, মুদ্রাস্ফীতি এবং ব্রেক্সিট নীতি। সুনাক যুক্তি দেন, মুদ্রাস্ফীতি হল ব্রিটেনের এক নম্বর চ্যালেঞ্জ। তার দাবি, লিজ ট্রাসের পরিকল্পনার অধীনে দেশে সুদের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।

সুনাক টাইমসকে বলেন, তিনি কর কমানোর পরিকল্পনা করছেন। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুধু একবার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি এখন প্রায় ১০ শতাংশ। ট্যাক্স কমানোর বিষয়ে নেতারা মূলত ‘রূপকথার গল্প’ শোনাচ্ছেন। তাদের প্রতিশ্রুতি কাল্পনিক বলেও অভিযুক্ত করেন তিনি।

লিজ ট্রাস

খবরে বলা হচ্ছে, সরকার ইতোমধ্যে বিদ্যমান ইইউ আইন প্রতিস্থাপন বা বাতিল করার অভিপ্রায় করেছে। কিন্তু নেতারা কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করেনি। তবে সুনাক দাবি করেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে ২০২৪ সালের মধ্যে ইইউ আইন বাতিল করবেন। এর আগে অবশ্য লিজ ট্রাস ২০২৩ সালে এটি বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ঋষি সুনাক ২০১৬ সালে ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে ট্যাক্স বাড়ানোর ক্ষেত্রে কনজারভেটিভ পার্টির সমালোচনা করায় তাকে চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল। চলতি সপ্তাহের জরিপ অনুসারে, কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের মধ্যে লিজ ট্রাসের জনপ্রিয়তা প্রমাণিত হয়েছে।

ঋষি সুনাক কনজারভেটিভ আইন প্রণেতাদের মধ্যে ভোটের সব রাউন্ডে এগিয়ে আছেন। তবে লিজ ট্রাস পার্টির মধ্যে জনপ্রিয় এবং শেষ পর্যন্ত তিটি চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে টিকে যেতে পারেন। ঋষি সুনাক একজন গোল্ডম্যান স্যাকস ব্যাংকার এবং তিনি ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভূমিকা পালন করেছেন। সুনাক ট্যাক্স কমানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।