জেলেনস্কি: হারানো জমি পুনরুদ্ধার ছাড়া যুদ্ধবিরতি নয়

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রাশিয়ার হস্তগত হওয়া অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধার না করে ইউক্রেন কোনো ধরনের অস্ত্রবিরতিতে যাবে না। কারণ এ ধরনের যুদ্ধবিরতি কেবল যুদ্ধকেই দীর্ঘায়িত করে। গতকাল শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এসব কথা বলেন। খবর আনাদোলু।

ভলোদিমির জেলেনস্কি

জেলেনস্কি বলেন, যদি এই মুহূর্তে কিয়েভ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় তাহলে সেটা হবে রাশিয়ার অধিকৃত অঞ্চলগুলোকে তার দখলের রাখার ব্যাপারে এক ধরনের অনুমতি দিয়ে দেওয়া। পরবর্তী সময়ে এটি আরো বিস্তৃত সংঘাতকে উৎসাহিত করবে। কারণ এ যুদ্ধবিরতির সুযোগে রাশিয়ার নতুন করে আবারো প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাবে।

জেলেনস্কি মার্কিন সরবরাহকৃত উচ্চগতির আর্টিলারি রকেট সিস্টেম সম্পর্কেও কথা বলেন। তার ভাষায়, পশ্চিমারা অনেক সাহায্য করছে। তবে ইউক্রেনের যুদ্ধের দিক পাল্টে দেওয়ার জন্য যে পরিমাণ সরবরাহ দরকার ছিল, পশ্চিমা সরবরাহ তার তুলনায় অনেক কম।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী

জেলেনস্কির বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, রাশিয়ার সাথে যুদ্ধবিরতি অর্থ লাগাতার যুদ্ধ থেকে তাদের কিছুটা বিরতি দেওয়া। আমারা মনে করি, আগে তাদের হাত থেকে সবগুলো অঞ্চলকে মুক্ত করতে হবে, তারপরই কেবল আমরা কী করব এবং কীভাবে আমরা সামনের শতাব্দীতে বাঁচতে পারি, সে সম্পর্কে আলোচনা করতে পারি।

জেলেনস্কি এ সময় আরো বলেন, আমাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কিছু ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা, যাতে রাশিয়ার হামলা থেকে ইউক্রেনের শহরগুলোকে রক্ষা করা যায়।

শস্য রপ্তানি চালু করার ব্যাপারে রাশিয়ার সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তির কথা উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেছেন, এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারগুলো হয়তো কিছুটা স্থিতিশীল হবে। তবে এটিকে সাময়িক একটি চুক্তি বলে উল্লেখ করেন জেলেনস্কি।

যুদ্ধ চলমান থাকাবস্থাতেই রাশিয়া ও ইউক্রেন গত শুক্রবার শস্য রপ্তানির জন্য ইউক্রেনীয় ব্ল্যাক সাগর বন্দরগুলো পুনরায় খুলে দিতে একটি যুগান্তকারী চুক্তিতে সই করেছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রত্যাশা, এর ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্যবাজারে সে সংকট তৈরি হয়েছে, তা কিছুটা হলেও কমে আসবে।