রাইসি-ম্যাক্রন ফোনালাপ, পরমাণু চুক্তি এখনও সম্ভব

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ম্যাক্রন বলেছেন, তেহরানের পারমাণবিক সক্ষমতা নিয়ে ২০১৫ সালের যুগান্তকারী চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করা ‘এখনও সম্ভব’। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চুক্তিটি বাস্তবায়ন করা দরকার। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

রাইসি-ম্যাক্রন ফোনালাপ

শনিবার ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভিয়েনায় পরমাণু আলোচনা স্থগিত হওয়ায় ম্যাক্রন হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি ইরানের চুক্তিতে ফিরে আসার এবং পারমাণবিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

রাইসি-ম্যাক্রন ফোনালাপ এমন সময় হলো যখন ভিয়েনায় ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বশক্তির মধ্যে আলোচনা স্থগিত হয়ে গেছে। গত জুন মাসে দোহায় যুক্তরাষ্ট্র-ইরান বৈঠকও ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়েছিল। কাতারের মধ্যস্থতায় নতুন এই প্রচেষ্টাটিও ব্যর্থ হয়। তবে ইরান সবসময় আশাবাদী। ইরান মনে করে, তেহরানের দাবিগুলো মেনে নিলে চুক্তিটি পুনর্বহাল করা সম্ভব।

ইরানের পতাকা

২০১৫ সালের চুক্তির লক্ষ্য ছিল, ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে, বিনিময়ে পারমাণবিক বোমা তৈরির সক্ষমতা অর্জন থেকে বিরত থাকবে ইরান। কিন্তু সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং নিষেধাজ্ঞালো পুনরায় আরোপ করেন।

নীতিতে ‘কোনো পরিবর্তন’ নেই: ইরানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় জানিয়েছে, ম্যাক্রনের সঙ্গে দুই ঘণ্টার কথোপকথনের সময় রাইসি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর গঠনমূলক অবস্থান ও কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন। গত সপ্তাহে একজন ইরানি কর্মকর্তা বলেছিলেন, তেহরানের পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রযুক্তিগত ক্ষমতা রয়েছে, তবে পারমাণবিক বোমা তৈরির সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তেহরানের পারমাণবিক নীতিতে কোনো পরিবর্তন হবে না। ইরান একটি ইসলামিক শাসন ব্যবস্থার দেশ। ইরান প্রশাসন গণবিধ্বংসী অস্ত্র নিষিদ্ধ করার পক্ষে। ম্যাক্রোন রাইসির সাথে ইরানে আটকে থাকা চার ফরাসি নাগরিকের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে আট বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা তেহরানের কারাগারে বন্দি।