ট্রাম্প: ইউক্রেনকে সহায়তা ৬০ বিলিয়ন, আমাদেরই ঋণ ৩৫ ট্রিলিয়ন

চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে কিয়েভকে ওয়াশিংটনের নগদ ও অস্ত্রের উদার সরবরাহে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন, ইউক্রেনকে এ পর্যন্ত ৬০ বিলিয়ন ডলারের সাহায্য করা হয়েছে, অথচ আমরাই এখনও ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণে আছি। বাইডেন কিয়েভকে সাহায্য করে এখন ভেনিজুয়েলা, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের কাছে সাহায্য চাইছেন। খবর আল মায়াদেন।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের টাম্পাতে একটি স্টুডেন্ট অ্যাকশন সামিটে বক্তৃতা করার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিজেরই অনেক সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সমাধান না করে এভাবে সাহায্য করা কাম্য নয়। ইউক্রেন সমস্যায় ইউরোপেরই বেশি সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন ছিল উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তারাই সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে।

বক্তৃতায় ট্রাম্প উল্লেখ করেন, প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তিনি কীভাবে ন্যাটো সদস্যদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় নিজেদের জিডিপির ২ শতাংশে বৃদ্ধি করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। এর আগে ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুবিধা গ্রহণ করেছিল। এখন আবার সেই একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি ঘটল।

ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সামরিক সাহায্য

সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আমরা এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে ৬০ বিলিয়ন ডলারের বেশি নগদ ও সামরিক সহায়তা দিয়েছি। কিন্তু এ যুদ্ধের কারণে যারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাবিত হচ্ছে, তারা দিয়েছে এর একটি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ মাত্র। তিনি দাবি করেন, এখন যদি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকতেন তাহলে ইউরোপকেই এক্ষেত্রে বেশি সহায়তা দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন।

যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি সংকট, রেকর্ডভাঙা মুদ্রাস্ফীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনও আমরা শুধু দিয়েই যাচ্ছি, অথচ আমাদের ঘাড়ে ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণ আছে।

ইউক্রেনকে দেওয়া এ মার্কিন সাহায্যে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন আসবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার সামরিক শক্তি ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা কিয়েভকে যে অস্ত্র দিচ্ছি, সেগুলো তারা নিশ্চিহ্ন করছে। আরও অনেক খারাপ কিছুও ঘটছে সেখানে।

বাইডেনের পূর্বসূরি এই প্রেসিডেন্ট বলেন, তার মেয়াদে রাশিয়া, চীন বা উত্তর কোরিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সমস্যা ছিল না। ইউক্রেন নিয়েও কেউ কোনো কথা বলেনি। তার সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শক্তিশালী ছিল, কিন্তু জো বাইডেনের অধীনে দুই বছর কাটানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের সেই অবস্থান নষ্ট হয়ে গেছেG সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি ও সম্মানের ক্ষেত্রে, কেউ এখন আর আমাদের সম্মান করে না।

ট্রাম্প দাবি করেন, দুই বছর আগে আমরা শক্তিশালী ও স্বাধীন ছিলাম। কিন্তু এখন আমরা একটি ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত হয়েছি। বাইডেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করছেন। তিনি ভেনিজুয়েলা, সৌদি আরবেও গিয়েও সাহায্য চাইছেন।