দ্রৌপদী মুর্মু: দরিদ্ররাও স্বপ্ন দেখে এবং সেটা পূরণও হয়

ভারতের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, দরিদ্ররাও স্বপ্ন দেখে এবং তাদের সেই স্বপ্ন পূরণও হয়। সোমবার (২৫ জুলাই) দেশটির ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। ভারতের ইতিহাসে প্রথম আদিবাসী নারী রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমন।

দ্রৌপদী মুর্মু

শপথ অনুষ্ঠানে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়াহ নাইডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং, অমিত শাহ ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, মুর্মুর নিজ রাজ্য ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা এবং বিভিন্ন দলের এমপিরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম ভাষণে মুর্মু বলেন, নিজেকে আমি সৌভাগ্যবতী মনে করছি। স্বাধীনতার ৫০ বছরে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছি আমি। আর স্বাধীনতার ৭৫ বছরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পেলাম।

ভারতের পতাকা

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি হওয়া আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তি নয়, দেশের প্রতিটি দরিদ্র মানুষের প্রাপ্তি এটা। আমার মতো নারীর রাষ্ট্রপতি হওয়া প্রমাণ করে ভারতের দরিদ্র মানুষরাও স্বপ্ন দেখতে পারেন। সেই স্বপ্ন পূরণও করতে পারেন তারা।

এ সময় দেশের প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে নজর দেবেন জানিয়ে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের নারী মুর্মূ বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাওয়াটাই ছিল আমার কাছে স্বপ্নের মতো।’

দেশের তরুণদের উদ্দেশে নতুন রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তরুণরা, তোমরা নিজেদের গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশের ভবিষ্যৎ গঠনের ভিত্তি তৈরি করো। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তোমরা আমার সর্বাত্মক সমর্থন পাবে।’

আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ইতিহাস গড়লেন ৬৪ বছরের দ্রৌপদী মুর্মু। ওডিশার সাঁওতাল পরিবারে জন্মগ্রহণ করা মুর্মু এর আগে ঝাড়খন্ড রাজ্যের গভর্নর ছিলেন। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির টিকিটে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন মুর্মু।