ইউক্রেনীয় ৯২ সেনার যুদ্ধাপরাধ বিচার করবে মস্কো!

ইউক্রেনে পাঁচমাসের বেশি সময় ধরে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। দেশটিতে প্রতিদিনই হত্যা-ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে রুশ সেনারা। সেই রাশিয়াই উল্টো ইউক্রেনীয় ৯২ সেনাকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করেছে। মস্কো বলছে, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে অভিযুক্তদের বিচার করবে তারা। খবর বিবিসি ও আলজাজিরা।

ইউক্রেনীয় ৯২ সেনার যুদ্ধাপরাধ বিচার করবে মস্কো!

রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক তদন্ত কমিটির প্রধান আলেক্সান্ডার বাস্ত্রাইকিন বলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা মানবতার শান্তি ও নিরাপত্তার বিরুদ্ধে অপরাধ চালাচ্ছে। দেশটির সেনাদের ১৩০০ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত শুরু হয়েছে।

বাস্ত্রাইকিন বলেন, রাশিয়া এরইমধ্যে ৯২ ইউক্রেনীয় সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। এছাড়া অন্তত ৯৬ জনকে ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় রাখা হয়েছে, যাদের ৫২ জন ইউক্রেনীয় সেনা কমান্ডার।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনীয় সেনাদের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। রাশিয়ার মিত্রদেশ ইরান, সিরিয়া ও বলিভিয়াকে নিয়ে এই আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে।

কিয়েভের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে চলতি মাসের গোড়ার দিকে ইউক্রেন অভিযোগ করেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত রুশ বাহিনীর ২১ হাজারেরও বেশি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা তদন্ত করছে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা।
এরইমধ্যে গত মে মাসে ইউক্রেনের এক বেসামরিক নাগরিককে হত্যার দায়ে রাশিয়ার একজন সেনা কমান্ডারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে কিয়েভের আদালত।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও (আইসিসি) ইউক্রেনে তদন্ত টিম ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের পাঠিয়েছিল। আইসিসির তদন্ত কর্মকর্তারা ইউক্রেন পরিস্থিতিকে ‘যুদ্ধাপরাধের চিত্র দৃশ্যমান’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে কোনো যুদ্ধাপরাধের কথা বরাবরই অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন।