ইউক্রেন থেকে শস্য চালান শুরু হচ্ছে চলতি সপ্তাহেই

তুরস্কের মধ্যস্থতায় করা ‘শস্য চুক্তি’ শিগগির বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা আশা করছেন, শস্যের পণ্যবাহী প্রথম জাহাজ কয়েক দিনের মধ্যে কৃষ্ণসাগরের বন্দর ছেড়ে যাবে। চুক্তিতে রাশিয়ার আক্রমণ থেকে জাহাজগুলোকে নিরাপদ রাখতে শর্তারোপ করা হয়েছে। ইউক্রেনের উপ-পরিকাঠামো মন্ত্রী ইউরি ভাসকভ গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে আশা করছি প্রথম চালানটি পাঠানো হবে। পলিটিকো।

ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর

কৃষ্ণসাগরের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের শস্য বহনকারী জাহাজের নিরাপদ চলাচলে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় গত শুক্রবার মস্কো-কিয়েভ একটি চুক্তিতে পৌঁছে। ইউক্রেনের সাউদার্ন অপারেশন কমান্ডের মতে, চুক্তির পরদিনই রাশিয়া ওডেসা বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে, যা বন্দরের অবকাঠামোতে আঘাত করে।

ইউক্রেন জানিয়েছে, চুক্তিটি বাস্তবায়ন হলে পাঁচ মাস ধরে আটকে থাকা কমপক্ষে ২০ মিলিয়ন টন শস্য বিশ্বের অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। ইউক্রেনীয় বন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গমের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের দাম বেড়ে গেছে, যা বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট সৃষ্টি করেছে।

শস্য চুক্তির ‌দ্রুত বাস্তবায়ন আশা করছে কিয়েভ। এই চুক্তির ফলে জাতিসংঘ, তুরস্ক, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা কৃষ্ণসাগরে শস্য চালান জাহাজের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে একসাথে কাজ করবে।

ইউরি ভাসকভ বলেন, প্রথমে চর্নমোর্স্ক বন্দর থেকে কৃষি-খাদ্য রপ্তানি চালু হবে। তারপর ওডেসা ও পিভডেনি বন্দর থেকে শস্য চালান ছেড়ে যাবে। তিনটি বন্দরই ওডেসা অঞ্চলে এবং একে অপরের কাছাকাছি। তবে কোন শিপিং কোম্পানি শস্য পরিবহনে ঝুঁকি নেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইউক্রেন আশা করছে, নিজস্ব পাবলিক-মালিকানাধীন কোম্পানির জাহাজ প্রাথমিকভাবে শস্য চালানে ব্যবহার করা হবে।

মন্ত্রী ভাসকভ বলেন, আমাদের জাহাজের প্রথম সফল চালানের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বীমা ফি হ্রাস পাবে বলে মনে করি। ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রী অলেক্সান্ডার কুবরাকভ আশঙ্কা করেছেন, এখনও রুশ হামলা হতে পারে। কৃষ্ণসাগরে আবারও এমন কিছু ঘটলে পুরো উদ্যোগটি আটকে যাবে। রপ্তানি বাজারকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করছে এই যুদ্ধ।