কানাডায় বন্দুক হামলা, হামলাকারীসহ নিহত ৩

কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে সন্দেহভাজন হামলাকারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাদের মধ্যে এক নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ভ্যাঙ্কুভার শহরের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্স।

গোলাগুলির ঘটনার পর সতর্ক কানাডিয়ান পুলিশ

পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, ভ্যাঙ্কুভার থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ল্যাংলি শহরের ডাউনটাউনে হঠাৎ করেই পথচারীদের ওপর হামলা চালায় এক বন্দুকধারী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বন্দুকধারীকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

হামলার উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তবে পুলিশ বলছে, মূলত গৃহহীন পথচারীদের লক্ষ্য করেই হামলা চালায় ওই বন্দুকধারী। হামলাকারী ও নিহত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হলেও পুলিশ সে সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।

কানাডার পতাকা

কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) বাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারীর সাথে আর কেউ জড়িত ছিল না এবং এ মুহূর্তে জননিরাপত্তার জন্য আর কোনো হুমকি নেই। আরসিএমপির তদন্ত দলের সার্জেন্ট ডেভিড লি বলেন, নিহত ও হামলাকারীর মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কি-না, তা নির্ধারণ করার চেষ্টা করছেন তারা।

রয়্যাল কানাডিয়ান পুলিশ ফোর্সের চিফ সুপারিন্টেন্ডেন্ট গালিব ভায়ানি বলেন, আমরা হামলাকারীর গুলিতে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনার তদন্ত করে যাচ্ছি। এই ঘটনায় আরো দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে কেন এই গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটল তা আমরা জানতে পারিনি। এমনকি নিহতদের সঙ্গে হামলাকারীর কোনো সম্পর্ক ছিল কি না তা-ও এখনো জানা যায়নি।

এদিকে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ল্যাংলি শহর ও শহরতলী জুড়ে অন্তত পাঁচটি ভিন্ন স্থানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সে তুলনায় কানাডায় এ ধরনের হামলাা ঘটনা খুবই কম। কারণ দেশটিতে কঠোর বন্দুক আইন রয়েছে। তবে কানাডিয়ানদেরও লাইসেন্স থাকা সাপেক্ষে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে পরিসংখ্যান বলছে, কানাডায় এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সংখ্যা বাড়ছে।