হোয়াইট হাউসে ফিরতে দৃঢ় প্রত্যয়ী ট্রাম্প

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ১৮ মাস আগে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর প্রথমবারের মতো গতকাল মঙ্গলবার তিনি ওয়াশিংটনে পা দেন। ২০২৪ সালে আবারও প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন- এমন দৃঢ় ইঙ্গিত দিয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ডোনাল্ড ট্রাম্প

খবরে বলা হয়, ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনে নিজের বিজয় দাবি করেছিলেন। মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে তিনি সেই দাবির পুনরাবৃত্তি করেন। নির্বাচনের পর ক্ষমতা না নিতে পেরে তিনি ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ইউএস ক্যাপিটলে তার সমর্থকদের লেলিয়ে দেন। সমর্থকরা ক্যাপিটলে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় চলা হাউস কমিটির তদন্তকে ‘রাজনৈতিক প্রহসন’ বলে নিন্দা করেছেন ট্রাম্প।

ওয়াশিংটনে ট্রাম্প বলেন, আমি নীরব থাকতে রাজি নই। যদি আমি চুপ থাকি কিংবা বাড়িতে থাকি, তাহলে আমি জনগণ থেকে পৃথক হয়ে যাব। কিন্তু আমি তা করব না, কারণ দেশকে বাঁচাতে হবে।

৭৬ বছর বয়সী ট্রাম্প আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা ঘোষণায় প্রথম থেকে নীরব ছিলেন। তবে তিনি বাইডেনের নানা ব্যর্থতায় পরবর্তী রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নিজেকে আবার তুলে ধরতে চাইছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, তার দল থেকে তাকে আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ট্রাম্প বলেন, আমি প্রথমবার নির্বাচন করেছি এবং জিতেছি। দ্বিতীয়বার দৌড়েছি এবং অনেক ভালো করেছি। আমাকে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। আমাদের দেশকে আরও উচ্চাসনে তুলে নিতে হবে। আমি আগামী কয়েক সপ্তাহে নিজেকে আরও প্রস্তুত করব।

ট্রাম্প তার বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বারবার কটাক্ষ করেছেন। তাকে দেশের দুর্বল অবস্থানের জন্য দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, আমরা অধঃপতনের দিকে যাচ্ছি এবং একটি ব্যর্থ জাতিতে পরিণত হচ্ছি। এ অবস্থা থেকে জাতিকে উদ্ধার করতে হবে।

সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ৪৯ বছরের মধ্যে এখন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ। গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। বাইডেন লক্ষাধিক অভিবাসীকে দেশে প্রবেশের জন্য দায়ী। যুক্তরাষ্ট্র এখন অপরাধের বন্দর। আমাদের রক্ত, মৃত্যু এবং দুর্ভোগ চূড়ান্ত সারিতে গিয়ে ঠেকেছে।

বাইডেনের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ, বাইডেন ‘আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীকে আত্মসমর্পণ’ করার এবং রাশিয়াকে ইউক্রেনে আক্রমণ করার অনুমতি দিয়েছেন।