যুক্তরাষ্ট্র: গণতন্ত্রকে দুর্বল করবে তিউনিসিয়ার নতুন সংবিধান

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, তিউনিসিয়ার নতুন সংবিধান গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে তুলতে পারে। দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির একটি আশঙ্কাজনক অবক্ষয় প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খবর মিডল ইস্ট মনিটর।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

গতকাল বৃহস্পতিবার জারি করা এক প্রেস বিবৃতিতে অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, আমরা অনেক তিউনিসিয়ানের সাথে কথা বলে দেখেছি, নতুন সংবিধানের খসড়া তাদের প্রতিবাদের সুযোগ সীমিত করেছে বলে তারা মন্তব্য করছে। তারা এ-ও অভিযোগ করে, এটি তিউনিসিয়ার গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে পারে এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি যথাযথ সম্মান বিনষ্ট করতে পারে।

তিনি বলেন, এ সংবিধানের ব্যাপারে নেওয়া গণভোটে যে লাখ লাখ তিউনিসিয়ান অংশ নেয়নি বা নতুন সংবিধানের বিরোধিতা করেছে তাদের আস্থা পুনরুদ্ধার করা বর্তমান প্রশাসনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ অবস্থায় তিনি দ্রুত একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনী আইন গ্রহণের আহ্বান জানান, যে আইনের মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় আইনসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য ব্যাপক অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হবে।

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিউনিসিয়ায় গত এক বছরে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে ২০১১ সাল থেকে তিউনিসিয়ার জনগণের কষ্টার্জিত বিষয়গুলোকে ধ্বংস হচ্ছে।

সংবিধানের স্থগিতাদেশ এবং ২০২১ সালের ২৫ জুলাই থেকে নির্বাহী ক্ষমতা একত্রীকরণ, দেশ ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই তিউনিসিয়ার গণতান্ত্রিক অবস্থান নিয়ে গভীর প্রশ্ন তুলেছে।

ব্লিংকেন অঙ্গীকার করেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনে তিউনিসিয়ার জনগণকে সমর্থন দিতে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেবে, যাতে সেখানে অবাধ বিতর্ক ও ভিন্নমতের স্থান সংরক্ষিত থাকে, মানবাধিকার রক্ষিত হয়, বিচারিক স্বাধীনতাকে সম্মান করা হবে এবং গণতন্ত্রের জন্য ক্ষমতার পৃথকীকরণ হবে।

বিবৃতির শেষ পর্যায়ে ব্লিংকেন বলেন, যখন তিউনিসিয়ায় গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য একটি যৌথ অঙ্গীকার থাকে, তখন দেশটির সাথে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব সবচেয়ে শক্তিশালী হয়।

গত সোমবার তিউনিসিয়ায় নতুন খসড়া সংবিধানে ভোট নেওয়া হয়। এর মাধ্যমে দেশটির প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়, যাতে তিনি ২০১১ সালের আরব বসন্তের আগের সময়ের মতোই ক্ষমতা নিয়ে দেশ পরিচালনা করতে পারেন।