হাঙ্গেরি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমা সামরিক কৌশল ব্যর্থ

রাশিয়ান-ইউক্রেন সংঘাতে পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক কৌশল সফলতা পাচ্ছে না। ইউক্রেনে শান্তি আনতে হলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই তা অর্জন করা যেতে পারে। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান এমন মন্তব্য করেছেন। খবর তাস নিউজ।

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান

গত শুক্রবার কসুথ রেডিওতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভিক্টর অবরান বলেন, তারা ধারণা করেছিল, পশ্চিমা অস্ত্রে সজ্জিত ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়াকে বিভ্রান্ত ও পরাজিত করতে সক্ষম হবে। এছাড়া পশ্চিমা পরামর্শে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মনে করেছিল, এর মাধ্যমে রাশিয়ার অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তোলা যাবে, কিন্তু সে ধারণাও ব্যর্থ হয়েছে। কারণ পশ্চিমাদের অনুসরণে পুরো বিশ্ব রাশিয়ার বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়ায়নি।

অরবান শুরু থেকেই পশ্চিমা বিশ্বের এ ধারণার নিন্দা জানিয়ে আসছিলেন। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। এখন কেবল দুই পরাশক্তি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই ইউক্রেনের বিরোধ নিষ্পত্তি হতে পারে। অন্য কোনো পন্থায় এতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই প্রক্সি যুদ্ধে পশ্চিমারা অর্ধেক জড়িত। ফলে তাদেরকেই শান্তি আনয়নে মনোযোগ দিতে হবে। তাহলেই এর মাধ্যমে ইউরোপও সার্বিক একটি স্থিতিশীলতা আশা করতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেহেতু কোনো ঐক্যবদ্ধ সেনাবাহিনী নেই, তাই তাদের সামনে এটি ছাড়া আর কোনো পথ নেই।

রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে। রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন সে সময় জোর দিয়ে বলেছিলেন, ইউক্রেনের অঞ্চলগুলো দখলের কোনো পরিকল্পনা মস্কোর নেই। ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত ও নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যেই এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

রাশিয়ার অভিযানের পর পশ্চিমারা মস্কোর বিরুদ্ধে ব্যাপকাকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করে। একই সময়ে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো কিয়েভকে বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সহায়তা দিয়ে সাহায্য করছে। কিন্তু তাতে কোনো ফল আসছে না।