বলসোনারোর বিরুদ্ধে পিটিশন, ৫ লাখের বেশি স্বাক্ষর

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র দুই মাস বাকী। তার আগে জনমত জরিপে দেখা গেছে, দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার চেয়ে পিছিয়ে আছেন। এরপর থেকেই বলসোনারো নিজ ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

জাইর বলসোনারো

বলসোনারোর এই অবৈধ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র রক্ষায় ৫ লক্ষাধিক মানুষ একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছে। পিটিশনটি চালু করেছেন সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সদস্যরা। গতকাল শনিবার পর্যন্ত পিটিশনটিতে ৫ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং সুপরিচিত গায়ক চিকো বুয়ারকসহ অনেকে।

পিটিশনের লেখকরা বলেন, আমরা স্বাভাবিক গণতন্ত্রের জন্য লড়ছি। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এখন একটি বড় বিপদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল বলসোনারো না মানার হুমকি দিয়েছেন। তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় হস্তক্ষেপ করতে পারেন।

সমর্থকদের মাঝে লুলা দা সিলভা

পিটিশনে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া বানচাল করতেই বলসোনারোর সমর্থকরা সহিংস হয়ে উঠেছে। তারা বহু সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সরকার ভোট জালিয়াতি করে ফের ক্ষমতার থাকতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।

বলসোনারো ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসেন। ১৯৯৬ সাল থেকে নিয়মিতভাবে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেমের বিরুদ্ধে তিনি কথা বলছেন এবং আগামী নির্বাচনে হারলে ফলাফল মানবেন না বলেও ভয় দেখাচ্ছেন। সাম্প্রতিক জনমত জরিপে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলার চেয়ে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছেন। লুলা ২০০৩-২০১০ সাল মেয়াদে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

পিটিশনে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ব্যাংকিং ফেডারেশন কিংবা সাও পাওলো শিল্পের মতো প্রভাবশালী ফেডারেশন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চার বছর আগে বলসোনারো ব্যবসায়িক খাত থেকে নির্বাচনী সমর্থন পেয়েছিলেন। এই সপ্তাহের শুরুতে একটি বক্তৃতায় বলসোনারো বলেন, আমরা স্বচ্ছতা ও বৈধতার পক্ষে। আমরা সংবিধানকে সম্মান করি।