জরুরি অবস্থা আরও ৬ মাস বাড়াল মিয়ানমার জান্তা

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। সামরিক নেতা মিন অং হ্লাইং এর অধীনে জরুরি অবস্থা চলমান রয়েছে। জরুরি অবস্থার অধীনে তার শাসনের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর জন্য জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর টহল

গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার জানিয়েছে, সংবিধানের ৪২৫ ধারার অধীনে ঘোষিত জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর প্রস্তাবকে পরিষদের সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে সমর্থন করেছেন। মিন অং হ্লাইং বলেন, আমাদের অবশ্যই ‘অকৃত্রিম এবং সুশৃঙ্খল বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা’ শক্তিশালী করতে হবে, যা জনগণের আকাঙ্ক্ষা।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী শহরগুলোতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমন করে আসছে। সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিজুড়ে এখন সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। বিরোধীরা বিকল্প জাতীয় সরকার ঘোষণা করায় তাদের ওপর নিপীড়ন আরও জোরদার করেছে জান্তা সরকার।

অং সান সুচি

জান্তা সরকারের বক্তব্য, ২০২০ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি করে ক্ষমতা দখল করেন নোবেল বিজয়ী এনএলডি নেত্রী অং সান সুচি। তবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী দলগুলো ব্যাপক জালিয়াতির কোনো প্রমাণ পায়নি।

সেনাবাহিনী ২০২৩ সালের আগস্টে নতুন নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও সময়সূচি ইতোমধ্যেই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে তা বিরোধীরা বিশ্বাস করে না। কারণ জান্তা সরকার গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার কঠোর বিরোধী।

রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর পরও মিয়ানমার সরকারের নেতৃত্বে থাকা অং সান সুচি নির্যাতিতদের পক্ষে একটি কথাও বলেননি। গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী তকমা নিয়ে তিনি রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর বছরের পর বছর ধরে চলা সেনা নির্যাতন সমর্থন করে গেছেন। এ কারণে তার বহু পুরস্কার ও পদক কেড়ে নেওয়া হয়। সেনাদের অন্যায় কাজ সমর্থন করেছিলেন সুচি, তারাই এখন তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে জেলে ঢুকিয়েছে।