দাবানলে পুড়ছে এক ডজন ইউরোপীয় দেশ

এক ডজন ইউরোপীয় দেশ এ বছর বড় দাবানলের শিকার হয়েছে। হাজার হাজার লোক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ইতালি, স্পেন এবং ফ্রান্সসহ দেশগুলো এখনও দাবানলের চরম ঝুঁকির মুখে রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জয়েন্ট রিসার্চ সেন্টার এই তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

মাইলের পর মাইল পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে দাবানলে

রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুসারে, ইইউ দেশগুলোতে চলতি বছর এখন পর্যন্ত দাবানলে পুড়ে গেছে ৬ লাখ ৭৩১ হেক্টর এলাকা, যা ২০০৬ সালের পর থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি এলাকা ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৪ হেক্টর এলাকা পুড়ে গিয়েছিল।

এ বছর পোড়া এলাকার আয়তন লুক্সেমবার্গের আয়তনের দ্বিগুণেরও বেশি। অন্য কোনো বছর আগস্টের মধ্যে ইউরোপে এত বেশি পরিমাণে পোড়া জমি দেখা যায়নি। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের সাধারণ আগুনের মওসুম জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে।

এই দাবানল অত্যন্ত অস্বাভাবিক: জলবায়ু পরিবর্তন আগুনকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। গরম এবং শুষ্ক পরিস্থিতিতে দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং দীর্ঘক্ষণ পোড়াচ্ছে। গরম আবহাওয়া গাছপালা থেকে আর্দ্রতা হ্রাস করে দিচ্ছে। এতে গাছগুলো শুষ্ক জ্বালানিতে পরিণত হচ্ছে এবং দাবানল হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে।

স্পেনের লেইডা ইউনিভার্সিটির বন প্রকৌশলের অধ্যাপক ভিক্টর রেসকো ডি ডিওস বলেন, ফ্রান্স ও পর্তুগাল গত জুলাইয়ের শুরুতে বড় দাবানলের শিকার হয়েছিল তা ছিল ‘অত্যন্ত অস্বাভাবিক’। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দাবানলের মওসুম আগে থেকেই শুরু এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হয়- তা প্রমাণিত হয়েছে।

ভিক্টর রেসকো বলেন, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে দাবানল একদিনে আর নেভানো যাচ্ছে না। দাবানল দিন দিন বড় হচ্ছে। পর্তুগাল এবং গ্রিসের মতো দক্ষিণ ইউরোপীয় বেশিরভাগ দেশ গ্রীষ্মকালে দাবানলের সম্মুখীন হচ্ছে। গরম তাপমাত্রা উত্তরাঞ্চলকে দাবানলের মারাত্মক ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জার্মানি, স্লোভেনিয়া এবং চেক প্রজাতন্ত্র একই মওসুমে দাবানলে আক্রান্ত হয়েছে।