মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা জারি

মহামারি করোনাভাইরাসের ক্ষতের মধ্যেই এবার মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটিজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে মার্কিন সরকার। খবর সিএনএন।

মাঙ্কিপক্স চিহ্নিত করতে নমুনা পরীক্ষা

যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬০০ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিউইয়র্কে। এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া ও ইলিনয়ে সংক্রমণ ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। তার আগের সপ্তাহে একই ঘোষণা দিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া ও ইলিনয় রাজ্য।

যুক্তরাষ্ট্রে একদিকে দিনে দিনে আক্রান্ত বাড়ছে, অন্যদিকে দেখা দিয়েছে ভাইরাসটির টিকা ও চিকিৎসা স্বল্পতা। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন স্বাস্থ্যবিভাগ ‘পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা করতে বাধ্য হলো।

মাঙ্কিপক্স

মার্কিন স্বাস্থ্য ও জনসেবা বিষয়ক সেক্রেটারি জেভিয়ার বাসেরা জানান, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবের কারণে জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে রোগটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অতিরিক্ত তহবিল ও সরঞ্জাম ছাড় করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানিয়েছে, এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ২৬ হাজার মানুষ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত সপ্তাহে মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কায় বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে। সংস্থাটি ঘোষণা দেয়, মাঙ্কিপক্সের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ বৈশ্বিক উদ্বেগ সৃষ্টিকারী জরুরি জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

রোগটির বিরুদ্ধে সমন্বিত আন্তর্জাতিক সাড়া এবং টিকা ও চিকিৎসা সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ডব্লিউএইচও’র তথ্য অনুযায়ী, মাঙ্কিপক্স প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ১৯৫৮ সালে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির দেহেও রোগটি ছড়ায়। সমকামীদের মধ্যে এবার রোগটি বেশি ছড়িয়েছে।

মাঙ্কিপক্স রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে জ্বর, মাথাব্যথা, হাড়ের জয়েন্ট ও মাংসপেশিতে ব্যথা। এরপর হাত-পাসহ দেহের বিভিন্ন অংশে পুঁজযুক্ত গুটি দেখা দেয়। সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠেন আক্রান্ত ব্যক্তি। তবে গত ২৭ জুলাই ভারতের কেরালায় মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।