মার্কিন রাজনীতিতে ঝড়, বেড়েছে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাসভবনে এফবিআইয়ের তল্লাশি পুরো দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে ঝড় তুলেছে। তল্লাশির কারণে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে। শীর্ষস্থানীয় রিপাবলিকান নেতারা তাকে সমর্থন দিয়েছেন। বাইডেনের এই পদক্ষেপকে ‘রাজনীতির সশস্ত্রকরণ’ বলে অভিহিত করেছে তারা। বাইডেনের বিরুদ্ধে স্বৈরতন্ত্রের কৌশল প্রয়োগের অভিযোগও তুলেছেন তারা। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ডোনাল্ড ট্রাম্প

গতকাল মঙ্গলবার ওয়েস্ট পাম বিচে ট্রাম্পের মার-এ-লাগো রিসোর্টে অভিযান চালায় এফবিআই। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টের সাথে এর আগে এমন কিছু ঘটেনি। এমনকি তারা আমার সিন্দুকের মধ্যেও ঢুকেছে।

ট্রাম্প এই অভিযানকে ‘বিচারিক অস্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করে বাইডেন প্রশাসনের নিন্দা করেছেন। ট্রাম্প বলেন, আমি ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি, গোড়া বাম ডেমোক্র্যাটরা তা চায় না। তারা আমাকে ঠেকাতে মরিয়াভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

এফবিআই

৭৬ বছর বয়সী ট্রাম্পের বেশ কয়েকজন সাবেক উপদেষ্টা ট্রাম্পকে অবিলম্বে ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তারা নজিরবিহীন এফবিআই তল্লাশিকে ফেডারেল তদন্তের একটি বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখছেন।

স্বৈরতন্ত্রের কৌশল প্রয়োগের অভিযোগ: ট্রাম্পের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ট্রাম্পের বাড়িতে তল্লাশির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি নিজেও ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী। তিনি মনে করেন, অভিযানটি বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতার ক্ষতি করেছে।

আসছে নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা জয়ী হলে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হতে চাইছেন কেভিন ম্যাকার্থি। তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসন ‘রাজনীতির সশস্ত্রকরণ’ করেছে এবং তারা বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে।

ট্রাম্পের মিত্র রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এই ধরনের তদন্ত অবশ্যই সমস্যাযুক্ত সিদ্ধান্ত। রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান স্কট পেরি বলেন, এফবিআই এজেন্টরা আমার সেল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে ফোনটি কেন জব্দ করা হয়েছে তার কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি তারা।