দক্ষিণ আফ্রিকা: ইউক্রেনের মতো ভূমি-স্বাধীনতার হকদার ফিলিস্তিনও

দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি প্যান্ডর বলেছেন, ইউক্রেনের জনগণ যেভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, সুনজর কেড়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণও সেই একই মনোযোগের দাবিদার। জোহানেসবার্গে গত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। খবর মিডল ইস্ট মনিটর।

দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি প্যান্ডর

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানাচ্ছি দক্ষিণ আফ্রিকায় এমন কেউ নেই যে যুদ্ধ সমর্থন করে। একই সাথে বলছি, আমরা এ লড়াই বন্ধে কূটনীতির সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দেখতে চাই এবং এই ভয়ঙ্কর সংঘাতের সমাধানে আলোচনা করতে চাই।

প্যান্ডর বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বিশ্বাস করে জাতিসংঘের সনদ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সাথে জড়িত সমস্ত নীতিগুলো কোনো কোনো দেশ নয় বরং সমস্ত দেশের জন্যই বহাল থাকা উচিত। ইউক্রেনের জনগণ যেমন তাদের ভূখণ্ড এবং স্বাধীনতার যোগ্য দাবিদার, তেমনি ফিলিস্তিনের জনগণ তাদের ভূমি ও স্বাধীনতার যোগ্য। ফিলিস্তিনের জনগণের সাথে যা ঘটছে তা নিয়ে আমাদের ইউক্রেনের মতো সমানভাবে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা সবাইকে এক চোখে দেখিনি।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন

সংবাদ সম্মেলনে ব্লিনকেন ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থনের কথা উল্লেখ করে বলেন, রাশিয়ার আক্রমণ সমগ্র আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আগ্রাসন। তবে প্যান্ডর স্পষ্ট করে বলেছেন, ইউক্রেন, চীন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার মতভিন্নতা রয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা রাশিয়ার সাথে সংঘাতের বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। এই বিষয়ে জাতিসংঘের যে কোনো ভোট থেকে বিরত রয়েছে। ফিলিস্তিন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অবস্থানের কথা উল্লেখ করে নালেদি বলেন, বিভিন্ন সংঘাতে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কখনও কখনও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে নিন্দার মুখে ফেলে দেয়।

আফ্রিকান সেন্টার ফর দ্য স্ট্যাডি অব অ্যামেরিকার পরিচালক বব ওয়েকেসা বলেছেন, সংবাদ সম্মেলনে প্যান্ডরের বক্তব্যে ধারণা করা হচ্ছে, দুই পক্ষের মধ্যকার রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি খুব কঠিন ছিল। আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তার পক্ষে নেওয়া যায় তা বোঝার চেষ্টা করছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা তার অবস্থান থেকে নড়বে না।