মোদি-শাহবাজ বৈঠক সেপ্টেম্বরে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আগামী সেপ্টেম্বরে বৈঠক হতে পারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের। উজবেকিস্তানের সমরখন্দে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন, এসসিও সম্মেলনে মিলিত হতে পারেন দুই নেতা। কূটনৈতিক সূত্রগুলো এমন ইঙ্গিত দিয়েছে। খবর জিও নিউজ।

শাহবাজ শরিফ ও নরেন্দ্র মোদি

সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ ও ১৬ তারিখ উজবেকিস্তানের সমরখন্দে এসসিও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এসসিওর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে- চীন, ভারত, রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, কাজাখস্তান ও উজবেকিস্তান।

সূত্র জানায়, মূল সম্মেলনে আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে নেতাদের মধ্যে আলোচনা হবে। পাশাপাশি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সরকারপ্রধানদের অনেকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও হবে।

ইসলামাবাদ কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, এসসিও সম্মেলনের বাইরে মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ। এছাড়া চীন, রাশিয়া ও ইরানের সরকারপ্রধানদের সঙ্গেও শাহবাজের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

তাসখন্দে গত ২৮ জুলাই এসসিও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক হয়। তাতে অংশ নেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা এখনও করা হয়নি।

বিলাওয়াল বলেন, তবে যেহেতু ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই এসসিও সদস্য, তাই দুই দেশের নেতার সাক্ষাৎ হবে। সংগঠনের বৃহত্তম কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপটেই দুই দেশের যোগাযোগ অক্ষুণ্ন রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী। অনেকে অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারলেও প্রতিবেশী কে হবে- তা কেউ ঠিক করে নিতে পারে না। তাই তাদের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চলতেই অভ্যস্ত হতে হয়।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের পর দেশটির সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপ কঠিন হয়ে পড়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তাদের বক্তব্য সংলাপের পথে বড় বাধা।

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেয়। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মধ্য দিয়ে একতরফাভাবে মোদি সরকার কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ নিয়েই পাকিস্তানের সঙ্গে বৈরিতা নতুন মোড় নিয়েছে।