ইমরান: আমি আমেরিকাবিরোধী নই, তবে দাসত্ব চাই না

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে নিজের ধারণা স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি আমেরিকাবিরোধী নই, তবে আমেরিকার দাসত্ব চাই না। গতকাল শনিবার রাতে পূর্ব লাহোর শহরে পাকিস্তানের স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ইমরান খান

সমাবেশে কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক জড়ো হয়েছিল। এ সময় তিনি পুতিনের সঙ্গে কেন দেখা করতে গিয়েছিলেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। ইমরান খান বলেন, আমি কখনোই কোনো দেশের বিরুদ্ধে ছিলাম না। সমালোচকরা আমাকে আমেরিকাবিরোধী বলে। আমি আমেরিকাবিরোধী নই। আগাম নির্বাচন দিতে হবে। আমি জনগণকে প্রকৃত স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে চাই।

ইমরান খান সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এপ্রিল মাসে বিরোধী জোটের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন। তিনি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন এবং তারপর থেকে সমাবেশে ওয়াশিংটনের সমালোচনা করে আসছেন।

ইমরান খানের দল পিটিআই

ইমরান বলেন, আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নই, তবে আমি দাসত্ব চাই না। আমেরিকাতে পাকিস্তানি আমেরিকান সম্প্রদায় সবচেয়ে শক্তিশালী সম্প্রদায়। আমি কেন এমন একটি দেশের বিরুদ্ধে থাকব, যেখানে সবচেয়ে দক্ষ, ধনী এবং পেশাদার পাকিস্তানিরা বাস করে?

তিনি বলেন, আমেরিকাতে পাকিস্তানের রপ্তানির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। তাই আমি মোটেও আমেরিকাবিরোধী নই। খবরে বলা হচ্ছে, খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লবিং এবং পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছে। দল চালাতে ইমরান প্রতিমাসে সেখান থেকে ২৫ হাজার ডলার পান।

ইমরান খান এবং তার দল সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে, যখন তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে মস্কো সফর করেন। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করার কয়েক ঘণ্টা পর তিনি ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে দেখা করেন।

সমাবেশে ইমরান খান বলেন, তিনি পাকিস্তানের জন্য একটি সস্তা গ্যাসের বিকল্প খুঁজতে পুতিনের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু এতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। তারা মনে করে, আমি যুক্তরাষ্ট্রের কথা শুনিনি।