সন্ত্রাস মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করবে সৌদি-মিশর

মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস মোকাবেলায় সৌদি আরবের সাথে যৌথভাবে কাজ করবে মিশর। গতকাল শনিবার মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সব ধরনের সন্ত্রাস, সহিংসতা ও চরমপন্থা মোকাবেলায় সৌদি আরবের পাশে দাঁড়িয়েছে কায়রো। নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলে, এমন অপতৎপরতার বিরুদ্ধে একসাথে রুখে দাঁড়াবে দেশ দুটি। আশরাক আল আওসাত।

সৌদি আরব ও মিশরের পতাকা

বুধবার রাতে জেদ্দায় এক আসামি নিজেকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে সৌদি আরব উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। ওই ব্যক্তিকে সৌদি নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেপ্তার করতে চাচ্ছিল। বুঝতে পেরে সে নিজেকে হত্যার দিকে ঠেলে দেয়। এই ধরনের আত্মঘাতী হামলা উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে মিশরও। এ ঘটনার পর মিশর সৌদির সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে।

বিবৃতিতে আত্মঘাতী আসামিকে গ্রেপ্তারের আগে-পরে সৌদি আরব যে সতর্কতা অবলম্বন করেছে, তার প্রশংসা করেছে মিশর। হামলায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেছে কায়রো। নাগরিক ও বাসিন্দাদের নিরাপত্তা সুসংহত করার জন্য সৌদি সরকার যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তার প্রতি সমর্থন জোরদারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে মিশরের বিবৃতিতে।

আরব লীগ

আরব লীগের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কর্মসূচি: মধ্যপ্রাচ্য, উপসাগরীয় অঞ্চল এবং উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের ঘটনা নতুন নয়। যদিও এ ধরনের কার্যকলাপের ধরন ও উৎস ভিন্ন। এজন্য আরব লীগ ১৯৯৭ সালে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক চুক্তিতে পৌঁছেছিল। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালে আরব কনভেনশনের প্রস্তবনা কার্যকর করার ঘোষণাও আসে।

কনভেনশনে সন্ত্রাসবাদকে সংজ্ঞায়িত করতে ভিন্ন ভিন্ন আঞ্চলিক পন্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে বলা হয়, বিদেশি দখলদারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামকে সন্ত্রাসবাদ বলা যাবে না। নিজ অঞ্চল শত্রুদের হাত থেকে মুক্ত করতে জনগণের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। এই বিধানের অধীনে সশস্ত্র সংগ্রামে নিয়োজিত ব্যক্তিরা ফৌজদারি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে না।

কনভেনশনের আরও বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেগুলো হল- আইনের শাসন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং পৃথক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বাধ্যবাধকতা এবং আদর্শিক মানদণ্ড বিবেচনায় নিতে হবে। এছাড়া সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় একটি যৌথ আরব সামরিক বাহিনী গঠনসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ গৃহীত হয়েছিল। তবে আজ পর্যন্ত সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হয়নি।