জেরুজালেমে বাসে গুলি, আহত ৮

ইসরায়েল অধিকৃত জেরুজালেমে একটি বাসের ওপর বন্দুকধারীর হামলায় আটজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে। খবর সিএনএন ও রয়টার্স।

গুলিবষর্ণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি

গতকাল রোববার ভোরে জেরুজালেমের ওল্ড সিটির কাছে একটি বাসে এ হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম নিডস এক টুইটে জানান, আহতদের মধ্যে পাঁচজন মার্কিন নাগরিক রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটি ঐতিহাসিক ওয়েস্টার্ন ওয়ালের কাছে একটি পার্কিং লটে অপেক্ষা করার সময় গুলিবর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। একজন বন্দুকধারী হঠাৎ করেই হামলা শুরু করে। সে একটি বাস ও দুটি অন্য গাড়ি লক্ষ্য করে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ১০ রাউন্ড গুলি চালায়। এরপর মুহূর্তের মধ্যে পালিয়ে যায়। এতে এক গর্ভবতী নারী এবং পুরুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসধীন।

হামলার নিন্দা করেছেন ইয়ার ল্যাপিদ

বাস চালক ড্যানিয়েল কানিভস্কি সাংবাদিকদের জানান, রোববার ভোরে ওল্ড সিটির ওয়েস্টার্ন ওয়ালের কাছে ডেভিড বাস স্টপের সমাধি এলাকায় অজ্ঞাত বন্দুকধারী বাসে এবং গাড়ির বাইরে থাকা লোকজনের ওপর গুলি ছোড়ে। আমি ওয়েস্টার্ন ওয়াল থেকে আসছিলাম। বাসটি যাত্রীতে পূর্ণ ছিল।

গতকাল রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিদ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, সন্দেহভাজন হামলাকারী জেরুজালেমের একজন বাসিন্দা। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি আরো মন্তব্য করেন, যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায় তাদের সকলকে জানা উচিত, আমাদের বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতির জন্য মূল্য দিতে হবে।

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এই হামলাকে ‘বীরত্বপূর্ণ’ বলে প্রশংসা করেছে। তবে এর দায় স্বীকার করেনি।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি গাজা ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ও ইসরাইলি বাহিনীর সংঘর্ষের পরই গুলিবর্ষণের এমন হামলা চলল। গত সপ্তাহে তিন দিনব্যাপী ইসরায়েলি হামলায় ১৭ শিশুসহ ৪৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল। ইসলামিক জিহাদ বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলে শত শত রকেট ছুড়েছে। পরবর্তীতে মিশরের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষ অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়।