যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হলে ইয়েমেনে ভয়াবহ সংঘাতের শঙ্কা

ইয়েমেনে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে। সবশেষ গত ২ আগস্ট দুই মাসের বর্ধিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় সৌদি সামরিক জোট ও হুথি বিদ্রোহীরা। তবে এই যুদ্ধবিরতি বারবার লঙ্ঘন করছে উভয়পক্ষ। এই অবস্থায় ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘের শীর্ষ দূত হ্যান্স গ্রুন্ডবার্গ বলেছেন, যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হলে ইয়েমেনে নতুন করে ভয়াবহ সংঘাত ছড়িয়ে পড়বে।

ইয়েমেনে ধ্বংসযজ্ঞ

গতকাল সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

জাতিসংঘ দূত যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে আবারও একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতি অর্জনের প্রচেষ্টা জোরদারের আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আশা করি যুদ্ধবিরতি এবং ইয়েমেনি নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু করা যাবে। এ নিয়ে প্রস্তুতির ব্যাপারে কাজ চলছে।

জাতিসংঘ

হ্যান্স গ্রুন্ডবার্গ সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার এবং হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয় গত ২ আগস্ট। আগামী ২ অক্টোবর ওই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল। ২০১৪ সালে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে এটাই সবেচেয়ে দীর্ঘ যুদ্ধবিরতি।

জাতিসংঘ দূত বলেন, আগামী ২ অক্টোবরের মধ্যে আরেকটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। পক্ষগুলোর ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকট থেকে বিশ্ববাসী মুক্তি পেতে পারে। আর যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে ইয়েমেনিদের দৈনন্দিন জীবন বিষিয়ে উঠবে।

এক ভিডিও ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ দূত সতর্ক করেন, যুদ্ধবিরতি বাড়াতে ব্যর্থ হলে ওই অঞ্চলটি সহিংসতার নতুন চক্রে পড়ে যাবে। ইয়েমেনকে জরুরিভাবে এই সংঘাত এড়াতে হবে। পক্ষগুলোকে যুদ্ধ এড়াতে এবং একটি স্থায়ী শান্তি গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

২০১৪ সালে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ শুরু হলে হুথিরা তাদের উত্তর ছিটমহল থেকে নেমে আসে এবং রাজধানী সানা দখল করে নেয়। তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে হটিয়ে দেয় এবং প্রধানমন্ত্রী মনসুর হাদিকে সৌদি আরবে পালাতে বাধ্য করে। এরপর ২০১৫ সালে সৌদি সামরিক জোট হুথিদের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে।