আকস্মিক শক্তিশালী ঝড়ের কবলে ইউরোপ, তিন দেশে প্রাণহানি ১৩

প্রচণ্ড তাপদাহ আর খরার ধকল না কাটতেই শক্তিশালী ঝড়ের কবলে পড়েছে ইউরোপ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) আকস্মিক ঝড়ে ইউরোপের তিনটি দেশ- ইতালি, ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ায় ৩ শিশুসহ অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশির ভাগ মৃত্যুই ঘটেছে উপড়েপড়া গাছের নিচে চাপা পড়ে। খবর বিবিসি।

ইউরোপে আকস্মিক ঝড়, তিন দেশে ১৩ প্রাণহানি

ফ্রান্সের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, কর্সিকা দ্বীপে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘণ্টায় ২২৪ কিলোমিটার গতিতে ঝড় বয়ে যায়। এতে দ্বীপটির বহু জায়গায় গাছ উপড়ে গেছে, বিপুলসংখ্যক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারী বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ায় দ্বীপের অবকাশকেন্দ্রগুলো তছনছ হয়ে গেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দ্বীপের একটি অবকাশ কুটিরে গাছ উপড়ে পড়ে এক কিশোরী ও প্রাপ্তবয়স্ক এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সৈকতে থাকা একটি অবকাশ কুটিরের চালা উড়ে যায়। চালাটি একটি গাড়ির ওপর আছড়ে পড়ে। এতে ওই গাড়িতে থাকা এক বয়স্ক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের কবলে পড়ে সাগরে এক জেলে ও নৌকা চালাতে গিয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। স্থলপথ ও সাগরপথে আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি রাল্ড ডারমানিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই কর্সিকা দ্বীপে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে যান। তিনি নিশ্চিত করেছেন, দ্বীপে ছয়জনের প্রাণহানির পাশাপাশি অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝড়ের ব্যাপারে আগেভাগে তারা কিছুই জানতে পারেননি। কোনো পূর্ব সতর্কতাও দেয়নি আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ।

অস্ট্রিয়ার কারিনথিয়া অঞ্চলে একটি লেকের কাছে গাছ উপড়ে পড়ে। এতে চার ও আট বছরের দুটি মেয়ে মারা গেছে। গাছ উপড়ে পড়ে লোয়ার অস্ট্রিয়া প্রদেশে আরও তিনজনের মৃত্যু ঘটেছে। এ অঞ্চলে আরও ১৩ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ঝড়ে ইতালির ভেনিসে ঝোড়ো বাতাসে ক্যাথেড্রাল বেল টাওয়ার থেকে ইটের দেয়াল ভেঙে পড়ে। সেখানে হতাহতের কোনো তথ্য জানা না গেলেও তুসকানি অঞ্চলে গাছ ভেঙে পড়ে একজন পুরুষ ও একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে।

ঝড়ে সমুদ্র তীরবর্তী বেশ কিছু রিসোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুসকানিতে।

ইউরোপের বেশকিছু অঞ্চলে গত দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছিল। এরমধ্যেই এলো ঝড়ের দুর্যোগ।