কাশ্মিরে ২৫ লাখ ভোটার বাড়ানোর পরিকল্পনা, চরম ক্ষোভ

কাশ্মিরের ভোটার তালিকায় নতুন করে ২৫ লাখ ভোটার বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের এ পরিকল্পনায় কাশ্মিরি নেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। এ নিয়ে আলোচনার জন্য কাশ্মিরি রাজনৈতিক দলগুলোর একটি জোট আগামী সপ্তাহে বৈঠক ডেকেছে। খবর ডয়েচে ভেলে।

২৫ লাখ ভোটার বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মোদি সরকার

ভারত সরকার কাশ্মিরের প্রায় ২৫ লাখ সম্ভাব্য নতুন ভোটারকে আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে যাচ্ছে। কাশ্মিরের রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, ২০১৯ সালে আধা-স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর ভোটার তালিকা নিয়ে মোদি সরকার নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারই অংশ হিসেবে নতুন ভোটার যুক্ত করা হচ্ছে।

কাশ্মিরের পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, কাশ্মিরের নির্বাচনী গণতন্ত্রের কফিনে এটাই শেষ পেরেক। যদি ২৫ লাখ বিজেপি ভোটার বাইরে থেকে আসে, তাহলে কাশ্মিরের ভোটারদের মূল্য কী থাকবে? ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিজেপি উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী নীতি অনুসরণ করছে।

খবরে বলা হয়, ২০১১ সালে ভারতের শেষ আদমশুমারি অনুসারে, ভারত-শাসিত কাশ্মিরের মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ। কাশ্মিরিদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, মোদি সরকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে হিন্দু অভিবাসনকে উৎসাহিত করে আসছে। বিশেষ করে কাশ্মিরের জনসংখ্যার পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। বিজেপির নেতৃত্বে যা হচ্ছে, তাতে বার্তা স্পষ্ট, কাশ্মির দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ নর্দার্ন কলোরাডোর রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানী আথার জিয়া ডয়েচে ভেলেকে বলেন, বিজেপি কাশ্মিরে ঔপনিবেশিকতার চাকায় নতুন করে তেল দিচ্ছে। সর্বশেষ এই আধিপত্যবাদী পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা পুরো কাশ্মিরকে চূড়ান্তভাবে দখলে নিতে চায়। বিজেপি এটাই চাচ্ছে।

কাশ্মিরের বাসিন্দা রিয়াজ আহমেদ বলেন, মোদি সরকার কাশ্মিরকে নিয়ে যে বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে হিন্দুদের সংখ্যা বাড়ানোর পদক্ষেপ। বর্ধিত ভোটার তালিকা নয়াদিল্লির সেই প্রচেষ্টার অংশ। স্থানীয় জনগণকে চিরতরে ক্ষমতাচ্যুত করার নীল নকশা তারা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।