ইউক্রেন থেকে দেড় লাখ টন খাদ্যশস্য কিনছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনের কাছ থেকে দেড় লাখ টন খাদ্যশস্য কিনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্য কোনো দেশকে খাদ্যসহায়তা হিসেবে দিতে এসব খাদ্যশস্য কিনছে দেশটি। তবে সেই শস্যবোঝাই জাহাজ কোন দেশে ভিড়বে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

ইউক্রেন থেকে দেড় লাখ টন খাদ্যশস্য কিনছে যুক্তরাষ্ট্র

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রধান ডেভিড বিসলে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপির সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরা ও বিজনেস স্টান্ডার্ড।

কয়েক বছর ধরে খরার কারণে চরম খাদ্যসঙ্কটে রয়েছে কেনিয়া। জাতিসংঘের সহায়তা হিসেবে ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্যবোঝাই জাহাজ নিয়ে শুক্রবার দেশটিতে যান ডব্লিউএফপি প্রধান বিসলে।

ডেভিড বিসলে বলেন, ইউক্রেনের বন্দরগুলো এখন আর যুদ্ধের কারণে অবরুদ্ধ নেই। তাই আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ইউক্রেন থেকে দেড় লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খাদ্য সহায়তার অংশ হিসেবে এ খাদ্যশস্য কিনছে দেশটি।

তিনি জানান, এসব শস্যের চূড়ান্ত গন্তব্য এখনও নিশ্চিত নয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।

এদিকে ডব্লিউএফপির ব্যবস্থাপনায় ২৩ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য পাঠানো হয়েছে হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলের জন্য। ইউক্রেন থেকে ওই খাদ্যশস্য নিয়ে যাত্রা করেছে একটি জাহাজ। আগামী ২৬ আগস্ট বা ২৭ আগস্ট জাহাজটি জিবুতিতে নোঙর করতে পারে। সেখান থেকে স্থলপথে গম যাবে ইথিওপিয়ায়।

বিসলে বলেন, এসব খাদ্যশস্য দিয়ে এক মাসের জন্য দেড় মিলিয়ন মানুষকে রেশন সরবরাহ করা সম্ভব।

প্রসঙ্গত, গত বছর বিশ্বের ১৩ কোটি ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়ানোর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে খাদ্যশস্য কিনেছিল, তার অর্ধেকই ছিলে ইউক্রেন থেকে কেনা।

তবে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক হামলা চালায় রাশিয়া। গত ছয়মাস ধরে চলছে ওই যুদ্ধ। এ কারণে এবার ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এর জের ধরে বিশ্বের অনেক দেশে খাদ্যসঙ্কটও তৈরি হয়েছে। খাদ্যশস্য রপ্তানিতে অচলাবস্থা কাটাতে গত জুলাই মাসে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয় ইউক্রেনের। ওই চুক্তির আওতায় এ পর্যন্ত শস্যবোঝাই ২৭টি জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছেড়েছে বিভিন্ন দেশের উদ্দেশ্যে।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, আজ শনিবার (২০ আগস্ট) শস্যবোঝাই আরও দুটি জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছেড়েছে। জুমরাত আনা এবং এমভি ওসেন এস নামের দুটি জাহাজে ৬ হাজার ৩০০ টন সূর্যমুখী তেল এবং ২৫ হাজার টন গম বোঝাই রয়েছে।