এবার ফেঁসে যাচ্ছেন স্কট মরিসন!

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের বিরুদ্ধে করোনার মধ্যে মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান আয়োজনের অভিযোগ তদন্ত করবে বর্তমান সরকার। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। আজ রোববার তিনি বলেন, মরিসনের পদক্ষেপের বৈধতা সম্পর্কে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা সলিসিটর জেনারেলের কাছ থেকে পরামর্শ নেবেন তিনি। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

স্কট মরিসনের সঙ্গে অ্যান্টনি অ্যালবানিজের বিতর্ক

অ্যালবানিজ বলেন, একই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য অভিযোগটির তদন্ত করব ও সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেব। আমরা সলিসিটর জেনারেলের পরামর্শ পাওয়ার পর তদন্ত কার্যক্রম হাতে নেব। আমি একটি মন্ত্রিসভা চালাচ্ছি। মন্ত্রিসভা এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।

মরিসনের বিরুদ্ধে সমালোচনা: স্কট মরিসন গত মে মাসে সাধারণ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরে লিবারেল পার্টির শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, মহামারি চলাকালীন গোপনে তিনি পাঁচটি মন্ত্রণালয়ে শপথ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন। বিষয়টি চলতি সপ্তাহে প্রকাশ পেয়েছে, যা ঘটেছিল মরিসনের একক ক্ষমতা ব্যবহার করে।

অ্যান্টনি অ্যালবানিজ

মরিসনের দল থেকেও সমালোচনার শিকার হচ্ছেন মরিসন। তবে মরিসন আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, মহামারির মধ্যেও আমি জাতির প্রতি দায়বদ্ধ ছিলাম। সংশ্লিষ্ট গভর্নর জেনারেল শপথ প্রদানের পরে আমি মন্ত্রণালয়গুলো অধিগ্রহণ করিনি।

প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, আমাদের গণতন্ত্রের কার্যকারিতা সম্পর্কে কিছু সংস্কার আনা দরকার। যাতে আর এমন কিছু কখনও না ঘটতে পারে তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তিনি আগেও মরিসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। অভিযোগ ছিল, মরিসন ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গোপনে ওয়েস্টমিনস্টার সরকার ব্যবস্থা লঙ্ঘন করে কিছু কার্যক্রম চালিয়ে গিয়েছিলেন।

এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে করোনা মহামারির নিষেধাজ্ঞার মধ্যে গোপন পার্টি আয়োজনের অভিযোগ উঠেছিল। শেষপর্যন্ত সেই অভিযোগ জোরালো হয়ে পড়লে নিজ দলের মধ্যেই চাপে পড়েন তিনি। অবশেষে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।