ইউক্রেন: স্বাধীনতা দিবসে হামলা হলে কঠোর জবাব

১৯৯১ সালের ২৪ আগস্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ইউক্রেন। সেই হিসেবে আজকের দিনটি ইউক্রেনের জন্য বিশেষ একটি দিন। একই সময়ে ইউক্রেনে রুশ হামলার ছয় মাসও পূর্ণ হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে রাশিয়া ইউক্রেনে আরও কুৎসিত কিছু করে বসতে পারে বলে আগেই সাবধান করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ক্রেমলিন যদি এমন কিছু করে বসে, তাহলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। খবর আল জাজিরা।

ভলোদিমির জেলেনস্কি

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, আগামীকাল আমাদের সকলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। দুর্ভাগ্যক্রমে, দিনটি আমাদের শত্রুদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে, কারণ রাশিয়ার পক্ষ থেকে ঘৃণ্য, নৃশংস ও কুৎসিত হামলা হতে পারে। তবে এর প্রতিক্রিয়াও শক্তিশালী হবে। আমি বলতে চাই, অনেক অনেক শক্তিশালী হবে।

এ সময় জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া থেকে ক্রিমিয়াকে উদ্ধার করে সেখানে নিজেদের শাসন পুনরুদ্ধার করবে ইউক্রেন। ২০১৪ সালে রাশিয়া এ অঞ্চলটিকে নিজেদের সাথে সংযুক্ত করে নিয়েছিল।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশের বৃহত্তম পতাকা তোলার প্রস্তুতি চলছে

জেলেনস্কি গত সপ্তাহ থেকেই সতর্ক করে আসছিলেন, স্বাধীনতা দিবসের দিনে মস্কো বিশেষ কুৎসিত কোনো চেষ্টা চালাতে পারে। কেবল জেলেনস্কি নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররাও এ আশঙ্কা করছে। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন কর্তৃপক্ষ এক সতর্কবার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদেরকে ইউক্রেন থেকে সরে যেতে আহ্বান জানিয়েছে।

শহরের ওপর রাশিয়া গোলাবর্ষণ করতে পারে, এই সতর্কতার পর রাজধানী কিয়েভে বুধবার ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়।

এদিকে কিয়েভের মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে তথ্য রয়েছে, রাশিয়া বুধবার ইউক্রেনের সামরিক-বেসামরিক সব ধরনের অবকাঠামোতে হামলা চালানোর প্রচেষ্টা জোরদার করছে। তাই মার্কিন নাগরিকদের এখন ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়া উচিত। সম্ভব হলে নিজস্ব উপায়েই সেখান থেকে সরে যাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে সড়কপথের পরিবহন ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছে মার্কিন দূতাবাস।