সাংহাই শীর্ষ সম্মেলনে হচ্ছে না এরদোয়ান-আসাদ বৈঠক

আগামী ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানের সমরকন্দে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলন। সম্মেলনে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যপে এরদোগান এবং সিরিয়ার বাশার আল আসাদের মধ্যে কোনো বৈঠক হবে না বলে জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। কারণ আসাদকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এসসিও সদস্য দেশগুলো হলো- চীন, ভারত, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, রাশিয়া, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

এরদোয়ান ও আসাদ

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানী আঙ্কারায় হ্যাবার গ্লোবাল নিউজ সম্প্রচারকারীর সাথে কথা বলার সময় মেভলুত কাভুসোগলু জানান, ওই শীর্ষ সম্মেলনে সিরিয়ার আসাদকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। সিরিয়ায় স্থায়ী শান্তির জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারবিরোধীদের সন্ত্রাসী হিসাবে দেখা উচিত নয় বলেও মতপ্রকাশ করেন তিনি।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রথম থেকেই আমরা জানিয়ে আসছি, সিরিয়া সংকটের সমাধানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াটি হলো রাজনৈতিক। তুরস্ক সিরিয়ায় সংকট উত্তরণের নীতি অনুসরণ করে। আমরা সিরিয়াল আঞ্চলিক অখণ্ডতায় বিশ্বাসী এবং সেখানে ঘাপটি মেরে থাকা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে হটিয়ে দেওয়ার পক্ষে।

কাভুসোগলু বলেন, সংলাপের জন্য কোনো পূর্বশর্ত নেই। আমরা দেশটিকে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে মুক্ত করতে চাই। আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তার পাশাপাশি সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং রাজনৈতিক অখণ্ডতা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সিরিয়া নীতি সবসময় সমাধানমুখী।

ইসরায়েলে রাষ্ট্রদূতের পুনর্নিয়োগ: আঙ্কারা আগামী দিনগুলোতে ইসরায়েলে একজন রাষ্ট্রদূতকে পুনরায় নিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন কাভুসোগলু। এটি তুরস্ক ও ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপের অংশ। গত সপ্তাহে দুদেশের মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে জোরালো সিদ্ধান্ত হয়।

কাভুসোগলু বলেন, ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার অর্থ এই নয় যে, তুরস্ক ফিলিস্তিন এবং আল আকসা মসজিদের বিষয়ে ছাড় দেবে। হামাসসহ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তুরস্ক এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায়। এর মাধ্যমে আমরা ফিলিস্তিনিদের অধিকার আরও ভালোভাবে রক্ষা করব।

মন্ত্রী আরও বলেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করা এ অঞ্চলের জন্য উপকারী। পরে মঙ্গলবার আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট কমপ্লেক্সে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দেখা করেন।