ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠিয়ে সংকটে পড়ল জার্মানি

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, জার্মানি নিজস্ব সামরিক মজুদ থেকে আর ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে পারছে না। কারণ তার দেশ নিজেই সামরিক সরঞ্জামের গুরুতর সংকটের মুখে পড়ে গেছে। গত বুধবার তিনি একটি সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান। খবর আনাদোলু।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক

বেয়ারবক পাবলিক ব্রডকাস্টার জেডডিএফকে বলেন, আমাদের যা কিছু আছে তা দিয়ে আমরা ইউক্রেনকে সামরিকভাবে সমর্থন করতে চাই। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দুর্ভাগ্যবশত আমাদের নিজস্ব স্টক ব্যাপক ঘাটতির মুখে রয়েছে। এ জন্য জার্মান সরকার দেশের প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর সাথে বিশেষভাবে ইউক্রেনের জন্য সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন করতে আলোচনা করছে, যার মধ্যে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র ও উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এ সময় এই শীর্ষ জার্মান কূটনীতিক স্বীকার করেন, প্রক্রিয়াটিতে প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি সময় লাগতে পারে। এমনকি আগামী বছরের আগে বেশিরভাগ চালান পাঠানো সম্ভব হবে না।

ইউক্রেনে পাঠানো জার্মান ট্যাংক

সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন জিততে পারবে কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে বেয়ারবক বলেন, আমরা তা জানি না। আমরা শুধু জানি, ইউক্রেনকে সম্ভাব্য সব রকমের সহযোগিতার জন্য বার্লিন সবকিছু করবে।

তিনি বলেন, আমি বুঝতে পারছি, ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকারের জন্য অস্ত্র পাওয়াটা কত জরুরি। কিন্তু জার্মানিকেও নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। তার আশঙ্কা, ইউক্রেনের চলমান সংঘাত ২০২৩ সাল জুড়েও চলবে এবং সেজন্য জার্মানিকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা করার ক্ষেত্রে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে জার্মানি। ওল্ডেনবার্গে একটি সামরিক স্থাপনা পরিদর্শনকালে তিনি এই মন্তব্য করেন, যেখানে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা জার্মান গেপার্ড অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট ট্যাংক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।

জার্মানির সরকারি সূত্র অনুযায়ী, দেশটি এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে ৫০টিরও বেশি সাঁজোয়া যান, প্রায় ১৫ হাজার অ্যান্টি-ট্যাংক মাইন, তিন হাজার অ্যান্টি-ট্যাংক অস্ত্র, তিন হাজার ২০০ পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং এক লাখ হ্যান্ড গ্রেনেড সরবরাহ করেছে।