জরিপ: ইসরায়েলের সমালোচনার পর জনপ্রিয়তা বেড়েছে আব্বাসের

জার্মানিতে একটি সম্মেলনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ তোলার পর সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন ফিলিস্তিেিনর প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তবে এতে দেশে তার জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক এক জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

মাহমুদ আব্বাস

রামাল্লাভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল একাডেমিক ক্যাম্পেইন টু এন্ড অকুপেশন অ্যান্ড অ্যানেক্সেশন দ্বারা পরিচালিত এক ইলেকট্রনিক জরিপে দেখা গেছে, ৬১ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন, প্রেসিডেন্ট আব্বাসের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে, ২৬ দশমিক ৯ শতাংশ মনে করে, জনপ্রিয়তা মোটামুটি বেড়েছে। আর ১১ দশমিক ২ শতাংশ উত্তরদাতাদের মনে করে, প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা সামান্য বেড়েছে।

জরিপে আরও দেখা গেছে, ৬১ দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন, আব্বাসের বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনার ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিরা অভ্যন্তরীণভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। অন্যদিকে ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেন, এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণভাবে কোনো ঐক্য ছিল না।

গাজায় ইসরায়েলিদের হামলা

জরিপটিতে প্যালেস্টাইনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ১৯৮ জন শিক্ষাবিদের একটি নমুনাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। গত ২২-২৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

গত ১৬ আগস্ট জার্মানি সফরকালে দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সাথে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ওপর ‘৫০টি হলোকাস্ট’ চালানোর অভিযোগ করেন।

১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিক চলাকালে ইসরায়েলি খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় ১০ জনের হত্যার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট আব্বাসকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি ওই ঘটনার জন্য ইসরায়েলের কাছে ক্ষমা চাইবেন কি-না। জবাবে দিতে গিয়ে ইসরায়েল ১৯৪৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনে ৫০টি গণহত্যা চালিয়েছে উল্লেখ করে আব্বাস বলেন, ৫০টি গণহত্যা, ৫০টি হলোকাস্ট।

বক্তব্যে ‘হলোকাস্ট’ শব্দটি বিশেষভাবে উল্লেখ করায় জার্মানি, ইসরায়েলসহ পশ্চিমা বিশ্ব তার ওপর ব্যাপক ক্ষিপ্ত হয়। তিনি ব্যাপক সমালোচনার স্বীকার হন। তবে এতে তিনি ফিলিস্তিনে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছেন।