বলসোনারো: স্বৈরাচারের পথে ব্রাজিল

ব্রাজিলে অভ্যুত্থান ঘটাতে গোপন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার অভিযোগে প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোর সমর্থকদের আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে বিলিওনিয়ার ব্যবসায়ীও রয়েছেন। পুলিশের এই অভিযানকে ‘স্বৈরাচারী আচরণ’ বলে অভিহিত করেছেন প্রেসিডেন্ট বলসোনারো। তিনি বলেন, বাক স্বাধীনতা আক্রমণের মুখে পড়েছে এবং ব্রাজিল ‘স্বৈরাচারের পথে’। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

জেইর বলসোনারো

প্রেসিডেন্ট হিসেবে বলসোনারো থাকলেও নির্বাচনকালীন দেশটির নির্বাহী ক্ষমতা থাকে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল প্রধানের হাতে। সাধারণত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা এই ট্রাইব্যুনালের প্রধান হয়ে থাকেন। বর্তমান নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের প্রধান করা হয়েছে বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসকে। তার নির্দেশেই পরিচালিত হচ্ছে ফেডারেল পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বোলসোনারো গতকাল শুক্রবার বলেন, পুলিশ কর্তৃপক্ষ বেআইনিভাবে আট ব্যবসায়ীকে আটক করেছে এবং তাদের অধিকাংশকে জেলে পাঠিয়েছে। ঘটনা তদন্ত হলে তার সমর্থকরা জয়লাভ করবে বলে প্রত্যাশা তার।

বলসোনারো রেডিও নেটওয়ার্ক জোভেম প্যানকে বলেন, ব্রাজিল একনায়কত্বের পথে। এভাবেই স্বৈরাচার শুরু হয়। আপনি ধীরে ধীরে স্বাধীনতা হারাবেন, তারপর একদিন দেখতে পাবেন, আপনি সম্পূর্ণভাবে স্বৈরাচারে আটকে গেছেন।

আটক ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছেন বিলিওনিয়ার ডিপার্টমেন্ট স্টোরের মালিক মোগুল লুসিয়ানো হ্যাংসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, যারা বলসোনারোর সমর্থক। গত ২৩ আগস্ট ফেডারেল পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। পুলিশের অভিযোগ, তারা একটি অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য নেটওয়ার্ক তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল।

ব্যবসায়ী হ্যাং রিটেইল চেইন হাভানেরও মালিক এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তার লক্ষাধিক অনুসারী রয়েছে। বলসোনারোর সমর্থক এই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ওপর সেন্সরশিপ আনা হয়েছে। তার টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, ইউটিউব এবং টিকটক অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে।

ব্যবসায়ী হ্যাং ৪.৮ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ সম্পদের মালিক। তিনি বলেন, তারা আমার সামাজিক নেটওয়ার্কগুলো কেড়ে নিতে পারে, কিন্তু তারা আমাকে কখনই স্তব্ধ করতে পারবে না। তিনি গত বৃহস্পতিবার টুইটারে লিখেছিলেন, সেন্সরশিপকে না বলুন! কারণ আপনিও পরবর্তী টার্গেট হতে পারেন।