ইরাক সংকট: সব দলকে পদত্যাগের আহ্বান সদরের

ইরাকে রাজনৈতিক সংকট ক্রমেই খারাপ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। দেশটিতে কার্যত কোনো সরকার না থাকায় জননিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এ অবস্থায় ইরাকের শিয়া মুসলিম নেতা মুকতাদা আল সদর সব দলের নেতাদের সরকারি প্রক্রিয়া থেকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। নিজ দলের ক্ষেত্রেও একই দাবি করেন তিনি। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

মুকতাদা আল সদর

২০০৩ সালের মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনে ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর থেকে ইরাকে রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলছে। দেশটি মূলত সাম্প্রদায়িকভাবে ক্ষমতা ভাগাভাগি ব্যবস্থার অধীনে শাসিত হয়ে আসছিল।

কিন্তু ২০০১ সালের অক্টোবরে নির্বাচনের পর থেকে জোট গঠন নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এ কারণে রাজনৈতিক অচলাবস্থায় পড়ে যায় দেশ। ইরাক এখন সরকার ছাড়াই চলছে। দেশটিতে এই মুহূর্তে নেই কোনো কার্যকর প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট।

অচলাবস্থা সৃষ্টির পর থেকে শিয়া নেতা মোকতাদা আল সদর ও তার সমর্থকরা সংসদ ভেঙে দেওয়ার এবং নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।

রাজনৈতিক সংকটের অবসান চান সদর: এক টুইটে মোকতাদা আল সদর বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, ২০০৩ সালে আমেরিকান দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত যারা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ ছিল, তারা আর এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না। এর মধ্যে সাদরিস্ট আন্দোলনও অন্তর্ভুক্ত।’

তিনি বলেন, ‘আমি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব দলকে নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। এ ধরনের পদক্ষেপ ছাড়া সংস্কারের আর অবকাশ থাকবে না’ বলে সবপক্ষকে সতর্ক করেন তিনি। তবে কার নেতৃত্বে ভবিষ্যত সরকার গঠন করা হবে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো কিছু বলেননি সদর।

সদরের সমর্থকরা কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরাকের পার্লামেন্টের বাইরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। শুরুর দিকে তারা পার্লামেন্টে ভবনের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ করে দাবির জন্য চাপ দিতে থাকে। গত সপ্তাহেও তারা বাগদাদে বিচারিক সংস্থার সদর দফতরের বাইরে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

ইরানপন্থী সমন্বয় কাঠামোতে সদরের প্রতিদ্বন্দ্বীরা চায়, যে কোনো নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে নতুন সরকারপ্রধান নিয়োগ করা হোক। তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল কাদিমি চলতি মাসের শুরুতে দলের নেতাদের সাথে সংকট আলোচনার আহ্বান জানান। কিন্তু সদরপন্থীরা তাদের বয়কট করে।