তুরস্ক: সন্ত্রাস দমনে কারও অনুমতির অপেক্ষা নয়

উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি সন্ত্রাসীরা সীমান্তের কাছে তুর্কি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বসবাসরত তুর্কি সৈন্য এবং সিরিয়ান উভয়কেই আক্রমণ করছে। এর প্রেক্ষিতে কুর্দি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে তুরস্ক। তবে কবে কখন অভিযান চালানো হবে, তা জানানো হয়নি। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ফাহরেতিন আলতুন

নরওয়েজিয়ান দৈনিক আফটেন পোস্টেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুরস্কের যোগাযোগ পরিচালক ফাহরেতিন আলতুন বলেন, সন্ত্রাস দমনে আমরা কারও অনুমতির অপেক্ষা করি না।

যোগাযোগ পরিচালকের মতে, যে কোনো ভূমিতে সংকটের বিষয়ে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এই অঞ্চলে যারাই শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাইবে তাদের পক্ষেই থাকবে তুরস্ক।

রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান

তিন জোর দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের নেতৃত্বে তুরস্ক এমন একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, যে রাষ্ট্রটি নিজস্ব স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয় এবং সন্ত্রাস দমনে কারও অনুমতির অপেক্ষা করে না।

তুরস্ককে সিরিয়ায় কুর্দি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অপারেশনের জন্য রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের সমর্থন প্রয়োজন কি না- জানতে চাইলে আলতুন বলেন, তুরস্ক-রাশিয়া সম্পর্কের একটি গভীর ইতিহাস রয়েছে এবং এটি অত্যন্ত সত্য।

খবরে বলা হচ্ছে, ২০১৬ সাল থেকে আঙ্কারা একটি সন্ত্রাসী করিডোর গঠন প্রতিরোধ করতে এবং বাসিন্দাদের শান্তিপূর্ণ বসবাস নিশ্চিত করতে উত্তর সিরিয়ায় সীমান্তজুড়ে কুর্দি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। এই অপারেশনগুলো হলো- ইউফ্রেটিস শিল্ড (২০১৬), অলিভ ব্রাঞ্চ (২০১৮) এবং পিস স্প্রিং (২০১৯)।

ন্যাটোর সদস্য পদ পেতে প্রতিশ্রুতি পূরন করতে হবে: ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটো সদস্য পদে তুরস্কের আপত্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে আলতুন বলেন, তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে- এটা যদি আমরা নিশ্চিত হই, তাহলে তাদের সদস্যপদ অনুমোদিত হবে।

ন্যাটো সদস্য পদ পাওয়ার জন্য মাদ্রিদ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে গত জুন মাসে তুরস্ক, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন এক টেবিলে মিলিত হয়। সেখানে তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছে। চুক্তির শর্তানুযায়ী, কুর্দি সন্ত্রাসীদের তুরস্কে প্রত্যর্পণ করতে হবে। এ নিয়ে সর্বশেষ হেলসিংকিতে একটি বৈঠকও হয়েছে। বৈঠকে নর্ডিক দেশ দুটি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।