ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান

ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের বেশ কয়েকজন সাবেক গোয়েন্দা ও সেনাপ্রধান। তারা মনে করছেন, পারমাণবিক বোমার তৈরির একেবারে কাছাকাছি রয়েছে ইরান। গতকাল রোববার ইসরায়েল হাইওম নামের একটি সংবাদসংস্থা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর মিডল ইস্ট মনিটর।

ইরানের একটি পরমাণু প্ল্যান্ট

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর সাবেক প্রধান আমোস গিলাদ এবং সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইয়াকুব আমিড্ররের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের সম্ভাব্য পারমাণবিক চুক্তি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় কোনো ফল পাওয়া যাবে না। তাই ইসরায়েলের নিজেদের রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।

গিলাদ বলেন, ইরানি হুমকি ইসরায়েলের জন্য প্রকৃতপক্ষেই একটি বড় কৌশলগত হুমকি। এটা বোঝা উচিত যে, পারমাণবিক শক্তিধর হয়ে ওঠা কেবল তাদের লক্ষ্যই নয় বরং এর জন্য ইতোমধ্যে তারা প্রচুর অর্থ ও শ্রম বিনিয়োগ করেছে।

ভিয়েনায় ইরানের পরমাণু চুক্তি বিষয়ক সম্মেলন, ফাইল ছবি

লেবাননের একটি প্রকাশনার উদ্ধৃতি দিয়ে গিলাদ আরো বলেন, ইরানের কাছে ইসরায়েলে হামলার জন্য দেড় লাখ রকেট রয়েছে। একই সাথে তারা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, সাইবার সক্ষমতাসহ সব ধরনের ক্ষমতা অর্জন করেছে এবং সর্বোপরি এটাই বাস্তব যে, তারা পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

অন্যদিকে আমিড্রর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে যে চুক্তি করতে যাচ্ছে, সেটি একটি খারাপ চুক্তি। তবে এটি ভালো হয়েছে যে, ইসরায়েল স্পষ্ট করে দিয়েছে তারা এ চুক্তিতে বাধ্য নয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্র যে কোনো মূল্যে এ চুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কূটনৈতিক বিকল্পগুলো আসলেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, আমি ইরানিদের রাজি করার কোনো পথ দেখছি না। কারণ ইরান কোনো কূটনৈতিক বা অর্থনৈতিক চাপের কারণে থেমে যায় না। ফলে আমাদের এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, আমরা একটি সামরিক বিকল্পের জন্য প্রস্তুত আছি।

এছাড়া আইডিএফ ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেটের আন্তর্জাতিক এবং ইরানি ডেস্কের সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাইকেল সেগাল বলেছেন, এই পারমাণবিক চুক্তি অল্প সময়ের মধ্যে হিজবুল্লাহসহ অন্য আঞ্চলিক জঙ্গি দলগুলোকে শক্তিশালী করে তুলবে।