সামরিক মহড়ায় নতুন দুই মিসাইল ব্যবহার করল ইরান

নতুন দুইটি মিসাইলের প্রায়োগিক পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান। আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য শাফাক মিসাইল ও ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ফাতেহ দূরপাল্লার ফাতেহ-৩৬০ মিসাইলের সফল ব্যবহার করেছে ইরানের স্থলবাহিনী। মধ্যাঞ্চলীয় ইস্পাহান প্রদেশের নাসরাবাদে দুই দিনব্যাপী সামরিক মহড়ায় এসব মিসাইল ব্যবহার করা হয়।

সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালিয়েছে ইরানের স্থলবাহিনী

সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে ইরানের স্থলবাহিনী বুধবার ফারস প্রদেশে বড় ধরনের সামরিক মহড়া শুরু করে। একতেদার-১৪০১ শীর্ষক এ মহড়ায় বিপুল সংখ্যক গ্রাউন্ড ও হেলিবর্ন সৈন্য অংশগ্রহণ করে। মহড়ায় ইরানি প্রযুক্তিবিদদের উদ্ভাবিত নতুন মিসাইলগুলোর ব্যবহার দেখতে উপস্থিত ছিলেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি, সশস্ত্র বাহিনীর খতম-উল-আম্বিয়া সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশীদ ও ইরানি সেনাবাহিনীর চিফ কমান্ডার মেজর জেনারেল আবদুল রহিম মুসাভি।

মহড়ায় বিভিন্ন এয়ারবর্ন অপারেশনের প্রশংসা করে জেনারেল বাকেরি বলেন, আকাশে অভিযানগুলোর সাফল্য থেকে বুঝা যাচ্ছে ইরানের স্থলবাহিনীর হেলিকপ্টার ফোর্সেস যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

দুই দিনব্যাপী মহড়ায় ইরানের হেলিকপ্টার ফোর্সেস দেশীয়ভাবে উদ্ভাবিত বিভিন্ন মিসাইল নিক্ষেপের পাশাপাশি বেশকিছু সার্ভেইল্যান্স ও রিকনেইসেন্স মিশনে অংশ নেয়। এ সময় মোহাজের-৬ আইস্টার ড্রোনকেও বিচিত্র মিশনে কাজে লাগানো হয়। ইরানের স্থলবাহিনীর মিসাইল ও আর্টিলারি ইউনিটগুলো বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ফাতেহ-৩৬০ ও অন্যান্য অপটিমাইজড মিসাইল প্রয়োগ করে।

সদ্যসমাপ্ত মহড়ায় নতুন ধরনের কিছু স্মার্ট গোলাবারুদ প্রয়োগ করে ইরানের স্থলবাহিনী। এছাড়া আক্রমণাত্মক ও রক্ষণাত্মক ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ট্যাকটিকস, প্যারাশুট ল্যান্ডিং ফল, এয়ারড্রপ, ক্লোজ এয়ার সাপোর্ট ড্রিল অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে ইরানের বিমান বাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউসুফ কোরবানি জানান, একতেদার-১৪০১ সামরিক মহড়ায় ইরানি বাহিনীর আকাশযানগুলোর জন্য দেশীয়ভাবে উদ্ভাবিত বিভিন্ন সেলফ-প্রটেকশন সিস্টেম পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, এবারের মহড়ায় নাইট-ভিশন ইকুইপড হেলিকপ্টারগুলো প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ আক্রমণাত্মক মিশনে ব্যবহার করা হয়েছে। এসব হেলিকপ্টার সফলভাবে রাত্রিকালীন যুদ্ধ অভিযান সম্পন্নের পাশাপাশি আধুনিকায়িত শাফাক মিসাইলেরও সফল পরীক্ষা চালিয়েছে।

আধুনিকায়নের পর শাফাক মিসাইলের যথার্থতা ও রেঞ্জ দুইটিই বেড়েছে জানিয়ে বিমান বাহিনীর কমান্ডার বলেন, বেল এএইচ-১ সুপারকোবরা হেলিকপ্টার থেকে নিক্ষিপ্ত শাফাক মিসাইলগুলো পিনপয়েন্ট অ্যাকিউরেসি নিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।