আশার আলো দেখাচ্ছে ইন্দোনেশিয়া-নরওয়ের নতুন চুক্তি

কার্বণ নির্গমন কমাতে ইন্দোনেশিয়ার সাথে একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি করতে যাচ্ছে নরওয়ে। বন উজাড় রোধে এই চুক্তি করা হবে। কারণ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় বন উজাড় নিয়ে নতুন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কর্মকর্তারা সোমবার বলেছেন, জাকার্তা অর্থায়নের অভাবে গতবছর নরওয়ের সাথে একই ধরনের চুক্তি নবায়নে ব্যর্থ হয়েছিল। খবর রয়টার্স।

বন উজাড় রোধে এই চুক্তি করা হবে

বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ রেইনফরেস্ট ইন্দোনেশিয়ায়। পাম তেলের মতো ফসলের প্রসারের কারণে বনের বিশাল অংশ হারিয়েছে। কিন্তু সরকার দাবি করেছে, বন উজাড়ের হার কমেছে এবং উন্নয়নের স্বার্থে বন উজাড়ের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রয়োজন।

ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশমন্ত্রী সিতি নুরবায়া বাকার এবং তার নরওয়েজিয়ান প্রতিপক্ষ এসপেন বার্থ ইদে সোমবার জাকার্তায় একটি নতুন চুক্তি বাস্তবায়নে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন। নতুন চুক্তিতে ফলাফল ভিত্তিক একটি মডেল অনুসরণ করা হবে।

নরওয়েজিয়ান সরকার জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার সরকার চুক্তির কৌশল নির্ধারণ ও তহবিল পরিচালনা করবে।

ইদে বলেন, ২০১৬ সালের আগস্ট থেকে ২০১৭ সালের জুলাইয়ের মধ্যে কার্বণ নির্গমন হ্রাসের জন্য অর্থায়নের পরিমাণ ছিল ৫৬ মিলিয়ন ডলার। ২০১৬-২০১৭ সালে ১১.২ মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনের সমতুল্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে ইন্দোনেশিয়া। ২০২১ সালে অর্থায়নের অভাবে নরওয়ের সাথে চুক্তিটির কার্যকারিতা হারায়।

ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশমন্ত্রী সিতি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় এবং ইন্দোনেশিয়ার অগ্রগতির জন্য ওই সমঝোতা স্মারকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বন উজার রোধ করতে পারলেই কার্বণ নিগর্মনের হার কমানো সম্ভব। বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবও রোধ করা সম্ভব।

গত বছর গ্লাসগোতে জলবায়ু সংক্রান্ত আলোচনায় ইন্দোনেশিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় বন্ধ করার পরিকল্পনাকে সমর্থন করতে অস্বীকার করেছিল। তবে বনায়ন খাতে ‘কার্বন নেট সিঙ্ক’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। নরওয়ের সাথে নতুন চুক্তিটির বিষয়টি কার্বন নির্গমন রোধে আশার আলো দেখাচ্ছে।