রানী এলিজাবেথের শেষকৃত্যে বিশ্বনেতাদের ঢল

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে লন্ডনে ঢল নেমেছে বিশ্বনেতাদের। যুক্তরাজ্যের শোকার্ত মানুষের পাশাপাশি রানীর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বিশ্বের আমন্ত্রিত অতিথিরা। রানীর শেষকৃত্য উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবারই লন্ডন পৌঁছেছেন। লন্ডনে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন। আজ শুক্রবার লন্ডন পৌঁছেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ান।

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিনে শ্রদ্ধা

রানী এলিজাবেথের শেষকৃত্যকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্যে বিশ্বের রাজপরিবারসহ রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের বড় সম্মিলন ঘটেছে। আগামী সোমবারের (১৯ সেপ্টেম্বর) শেষকৃত্যে যোগ দিতে এরইমধ্যে আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন ৫ শতাধিক রাষ্ট্র প্রধান ও বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের জন্য ২২শত মানুষের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে।

ঐতিহাসিক ওয়েস্টমিনস্টার হলেই রাখা হয়েছে রানীর কফিন। সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ব্রিটেনের সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা রানীর ভক্ত ও আমন্ত্রিতরা। যুক্তরাজ্য সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, রানীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে লন্ডনে ৫ মাইলেরও বেশি লম্বা লাইন পড়েছে। লোকজন ১১ ঘণ্টার বেশি লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে দেখতে পারছেন রানীর কফিন।

শেষকৃত্যানুষ্ঠানে ইউরোপের সব রাজপরিবার আমন্ত্রিত হয়েছেন। তাদের অনেকেই রানির রক্ত-সম্পর্কিত আত্মীয়। শেষকৃত্যে এসেছেন বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ ও রানি ম্যাথিলডে। নেদারল্যান্ডের রাজা উইলেম অ্যালেক্সান্ডার ও তার স্ত্রী রানি ম্যাক্সিমা এবং রাজার মা, সাবেক রানি প্রিন্সেস বিয়াট্রিক্স আসছেন রানী এলিজাবেথের শেষকৃত্যে।

এছাড়া স্পেনের রাজা ফেলিপ ও রানি লেটিজিয়াও আসার কথা নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন ও মোনাকোর রাজপরিবার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। রানীর মেয়াদকালে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর প্রধান হিসেবে শেষকৃত্যে এসেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন।

এছাড়া ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু , শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান, জাপানের সম্রাট নারুহিতো ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন যাচ্ছেন লন্ডনে।

অন্য বিশ্ব নেতাদের মধ্যে আছেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টেইনমেয়ার, ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাটত্তারেলা, আয়ারল্যান্ডের টিশাখ (সরকারপ্রধান) মাইকেল মার্টিন এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন। এছাড়া ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলও আসছেন।

তবে আমন্ত্রণ পাননি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন কিনা বা রানীর শেষকৃত্যে যাবেন কিনা তা জানা যায়নি। ব্রিটিশ সরকারের সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়া, সিরিয়া, মিয়ানমার, বেলারুশ, ভেনেজুয়েলা ও আফগানিস্তানকে রানীর শেষকৃত্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, লন্ডনে রানীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়াটা বিবেচনাই করছেন না প্রেসিডেন্ট পুতিন।