পশ্চিমা প্রভাবের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন শি-পুতিন

উজবেকিস্তানের সমরখন্দে চলছে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলন। এতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘শক্তির নতুন কেন্দ্র’ হিসেবে এসসিও দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। অন্যদিকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পশ্চিমা প্রভাবের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, এসসিও দেশগুলোকে বৈশ্বিক শৃঙ্খলা পুনর্নির্মাণে যুক্ত থাকতে হবে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

পুতিন ও শি জিনপিং

সম্মেলনে আজ শুক্রবার পুতিন বলেন, পরস্পরকে সহযোগিতাকারী নতুন ক্ষমতার কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এসসিও। দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান ভূমিকা পরিবর্তিত বিশ্বে আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আমরা পশ্চিমা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে পারি, আমরা বিচ্ছিন্ন নই।

উজবেকিস্তানে এসসিও শীর্ষ সম্মেলন ভারত ও পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি এশীয় দেশের নেতাদের সাথে পুতিন এবং শি মিলিত হয়েছেন। কারণ রাশিয়া দেখাতে চাচ্ছে, ইউক্রেনের সংঘাতের কারণে তারা বিশ্ব থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়নি। সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে তার।

রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে পুতিন বলেন, আমরা সমগ্র বিশ্বের সাথে সহযোগিতার জন্য উন্মুক্ত। আমাদের নীতি যে কোনো ধরনের স্বার্থপরতা বর্জিত। আমরা আশা করি অন্যরাও একই নীতি অনুযায়ী তাদেরকে চালিত করবে। তারা সুরক্ষাবাদ (প্রোটেকশনিজম), অবৈধ নিষেধাজ্ঞা এবং চাপিয়ে দেওয়া অর্থনৈতিক স্বার্থপরতার ব্যবহার বন্ধ করবে।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শীর্ষ সম্মেলনে বলেন, এসসিও সদস্য দেশগুলোর উচিত জাতিসংঘের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে উন্নত করা। আমরা জিরো-সাম গেমস কিংবা ব্লক পলিটিক্স পরিত্যাগ করতে পারি। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার উন্নয়নকে আরও ন্যায়সঙ্গত এবং যুক্তিপূর্ণভাবে গ্রহণ করে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত আট সদস্যের সংস্থা এসসিও-এর লক্ষ্য হলো, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং পারস্পরিক আস্থা জোরদার করা। সংস্থাটির সদস্য দেশগুলো হলো- রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান। চলতি সম্মেলনে ইরানও সংস্থাটির সদস্য পদ অর্জন করেছে।