যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করছেন এরদোয়ান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, আঙ্কারা কূটনীতির মাধ্যমে ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটাতে চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি আফ্রিকায় শস্য রপ্তানির অনুমতির জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টাও চলছে। আফ্রিকান ভাই-বোনেরা খাদ্য সংকটে ভুগছে। তাদের কাছে শস্য পৌঁছানো নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করছি। শুক্রবার উজবেকিস্তানের সমরকন্দে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

কথা বলছেন এরদোয়ান

এরদোয়ান বলেন, আঙ্কারা প্রতিটি ক্ষেত্রে এশিয়ার সাথে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য কাজ করছে। গত দশকে এসসিওতে সংলাপ অংশীদার হিসেবে তুরস্ককে অবস্থান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। এই সংস্থাটি এশিয়ার জন্য আমাদের একটি জানালা হয়ে উঠেছে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, তুরস্ক বিশ্বের ‌সবচেয়ে উদার দেশ। কারণ আমরা জাতীয় আয়ের প্রায় ১ শতাংশ মানবিক সহায়তায় বরাদ্দ রাখি। সম্মেলনে এরদোয়ান একটি পারিবারিক ফটোশুটেও অংশ নেন।

কোভিড মহামারির পর এসসিও শীর্ষ সম্মেলন প্রথমবারের মতো বিশ্ব নেতারা একত্রিত হয়েছে। এতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ইরানের ইব্রাহিম রাইসি, আজারবাইজান, উজবেকিস্তান ও কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্টসহ পাকিস্তান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীরা অংশ নেন।

২০১২ সালে আঙ্কারাকে এসসিও সংলাপ অংশীদার মর্যাদা দেওয়ার পর তুরস্ক এবার প্রথমবারের মতো শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছে। অজারবাইজান ছাড়াও সংস্থাটির সংলাপ অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে কম্বোডিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং আর্মেনিয়া। তবে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবারের সম্মেলনে যোগ দেননি।

২০০১ সালের ১৫ জুন আটটি সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল এসসিও। সংস্থাটির লক্ষ্য, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি এবং পারস্পরিক আস্থা জোরদার করা।

সমরখন্দে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে নতুন দেশ হিসেবে এ সংস্থায় ইরানকে যুক্ত করা হচ্ছে। আগামী বছরের শুরুর দিকে ইরান স্থায়ী সদস্য হিসেবে কাজ করতে পারবে। ২০১৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান এসসিওর সদস্য হয়।