পুতিন: সেনা প্রত্যাহারে তাড়াহুড়ো নেই, অভিযান চলবে

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সংকট সমাধানের প্রচেষ্টার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, সৈন্য প্রত্যাহারে রাশিয়া কোনো তাড়াহুড়ো করবে না। ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ চালানোর চেষ্টা সত্ত্বেও মস্কো অভিযান বন্ধ করবে না। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ভ্লাদিমির পুতিন

গতকাল শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) উজবেকিস্তানের সমরখন্দে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এরদোয়ান-পুতিন রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।

বৈঠকে ইউক্রেনের সংঘাত, তেল ও গ্যাস সরবরাহ নিয়ে আলোচনা করা হয়। ঐতিহাসিক শস্য রপ্তানি চুক্তির বিষয়েও দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়। শস্য চুক্তিটির মধ্যস্থায় ভূমিকা রাখে আঙ্কারা। চুক্তিতে জাতিসংঘ, তুরস্ক, রাশিয়া ও ইউক্রেন স্বাক্ষর করেছিল। এর আগে এরদোয়ান বলেছিলেন, তুরস্ক চায় রাশিয়া থেকে শস্যের চালানও আবার শুরু হোক।

এসসিও শীর্ষ সম্মেলন

এদিকে রাশিয়া থেকে তুরস্কে গ্যাস সরবরাহের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য রুটের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিন। এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে এরদোয়ানের সাথে সাক্ষাতের সময় পুতিন এ অভিমত ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি যুদ্ধাবসানে প্রচেষ্টার জন্য তুরস্ককে ধন্যবাদ জানান।

পুতিন বলেন, ইউক্রেনীয় শস্য দরিদ্রতম দেশগুলোতে বিনামূল্যে দিতে চায় রাশিয়া। তুরস্কের বন্দর দিয়ে রাশিয়ান শস্যের সম্ভাব্য চালানের জন্য ইতিবাচক সংকেতও পাওয়া গেছে। অতি সম্প্রতি রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনী ইউক্রেনে কয়েকটি সংবেদনশীল অভিযান শুরু করেছে। এটি একটি সতর্কতা মাত্র। পরিস্থিতি অনুযায়ী হামলা আরও প্রকট হতে পারে। আমরা একটি পূর্ণ সেনাবাহিনী নিয়ে যুদ্ধ করছি না। আমরা শুধু রাশিয়ান সেনাবাহিনীর একটি অংশ নিয়ে যুদ্ধে নেমেছি।

নেতাদের সঙ্গে বৈঠক: এরদোয়ান এসসিও নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং উপস্থিত নেতাদের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করছেন। তিনি পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে সমরখন্দে বৈঠকে মিলিত হন।

শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এরদোগান আজারবাইজান, চীন ও মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠক করেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।