উত্তেজনার মধ্যেই এবার আর্মেনিয়ায় ন্যান্সি পেলোসি

মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি শনিবার আর্মেনিয়ায় পৌঁছেছেন। প্রতিবেশী আজারবাইজানের সাথে সংঘর্ষের প্রাক্কালে তার এই সফরে কূটনীতিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পেলোসি আর্মেনিয়ায় সফরকারী একটি মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সংঘর্ষে উভয়পক্ষে অন্তত ২০০ জনেরও বেশি সেনা নিহত হয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমস।

আর্মেনিয়ায় মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি

সফরে পেলোসি রাজধানী ইয়েরেভানে প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আর্মেনিয়ার প্রতি সমর্থন জানাতেই পোলিসির এই সফর। যুক্তরাষ্ট্র চায় দুদেশের মধ্যে বিরোধের স্থায়ী সমাধান হোক।

নাগোর্নো-কারাবাখের বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে দুই প্রতিবেশী যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। সর্বশেষ লড়াইটি সংঘটিত হয় ২০২০ সালে। এই যুদ্ধে আর্মেনিয়ার দুর্বল সামরিক শক্তির প্রমাণ মেলে।

নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে পেলোসির এই সফরকে রাজনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের অবসানের পর থেকে আর্মেনিয়া সফর করা তিনিই সর্বোচ্চ পদস্থ আমেরিকান কর্মকর্তা। তার অফিস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সফরে পেলোসির সাথে রয়েছেন প্রতিনিধি জ্যাকি স্পিয়ার এবং আনা জি এশু। দুজনই আর্মেনিয়ান আমেরিকান। ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি বৃহৎ আর্মেনিয়ান সম্প্রদায় রয়েছে।

কূটনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেলোসির এই সফর আর্মেনিয়ায় মার্কিন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং কৌশলগত নীতির অংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সাবেক সোভিয়েত সাম্রাজ্যের চারপাশে ক্ষমতার ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে চায়। এর আগে এ অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব তৈরি করতে চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়।

খবরে বলা হচ্ছে, রাশিয়া আর্মেনিয়ার দীর্ঘদিনের রক্ষক। কিন্তু ইউক্রেনে হামলার পর নানা নিষেধাজ্ঞায় আগের চেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে রাশিয়া। এই সুযোগটি নিতে চাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর্মেনিয়ার এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আজারবাইজানও আর্মেনিয়ান প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ানকে চাপের মধ্যে রেখেছে। যা বিতর্কিত অঞ্চলে আজারবাইজানি সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেবে বলে মনে করেন কূটনীতি বিশেষজ্ঞরা।