পুতিন: ইউক্রেনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাব হবে গুরুতর

ইউক্রেনীয় বাহিনীকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করার এবং রাশিয়ার বেসামরিক অবকাঠামোর ক্ষতি করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা আপাতত এ বিষয়ে বেশ সংযত রয়েছি। তবে যদি পরিস্থিতি এভাবে এগুতে থাকে তবে প্রতিক্রিয়া আরও গুরুতর হবে। খবর আল জাজিরা।

পুতিন

উজবেক শহর সমরখন্দে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনের পর বক্তৃতাকালে পুতিন এসব মন্তব্য করেন। ইউক্রেনে হামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার পশ্চিমা চক্রান্ত প্রতিরোধ করার জন্য এই আক্রমণের প্রয়োজন ছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণে রুশ বাহিনী ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি মুচকি হেসে বলেন, কিয়েভ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, তারা একটি সক্রিয় পাল্টা-আক্রমণমূলক অভিযান শুরু করেছে। আচ্ছা, দেখা যাক কীভাবে সামনে আগায় এবং কীভাবে যুদ্ধ শেষ হয়।

রাশিয়ার মূল লক্ষ্য দনবাস অঞ্চলের মুক্তি

ইউক্রেনের সাম্প্রতিক এসব অভিযানের জবাবে রাশিয়া ইউক্রেনের একটি ড্যাম ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালায়। এসব আক্রমণের কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, গত কয়েকদিনের মধ্যে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী কিছু সংবেদনশীল স্থানে আঘাত করেছে। ধরে নেওয়া যাক সেগুলি একটি সতর্কবার্তা। পরিস্থিতি যদি এভাবেই সামনে আগাতে থাকে, তাহলে প্রতিক্রিয়াও আরও গুরুতর হবে।

এরপরও রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের সংশোধনের প্রয়োজন আছে কি-না, জানতে চাইলে পুতিন বলেন, এতে সমন্বয়ের কিছু নেই। রাশিয়া ক্রমান্বয়ে ইউক্রেনের নতুন নতুন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে। আর রুশ কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে একটি জিনিসকেই মূল কাজ হিসেবে গণ্য করছে। আর সেটা হচ্ছে পুরো দনবাস অঞ্চলের মুক্তি। এক্ষেত্রে অন্য বিষয়গুলো আসলে গৌণ।

দনবাস পূর্ব ইউক্রেনের রুশভাষী দুটি প্রদেশ নিয়ে গঠিত। এর একটি হচ্ছে লুহানস্ক, যা এখন সম্পূর্ণরূপে রাশিয়া এবং রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। দ্বিতীয় প্রদেশটি হচ্ছে দোনেৎস্ক, যা আংশিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে রাশিয়া।

রাশিয়া দাবি করছে, তারা এখন ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ দখল করে আছে, যার মধ্যে ক্রিমিয়া ছাড়াও দক্ষিণের জাপোরিঝিয়া ও খেরসন প্রদেশের বেশিরভাগ অংশ রয়েছে।