সাগরকে ‘কবরস্থানে পরিণত’ করেছে গ্রিস, জাতিসংঘে এরদোয়ানের নিন্দা

পূর্ব ভূমধ্যসাগরে ২৮৩ অভিবাসী ও শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে তুরস্কের কোস্টগার্ড কমান্ড। কাস উপকূলীয় শহর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে সাগরে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার রাতে একটি জরুরি ফোন পেয়ে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসিপ তাইয়েপ এরদোয়ান অভিবাসীদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের জন্য জাতিসংঘে গ্রিসের নিন্দা জানিয়েছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

সাগরকে ‘কবরস্থানে পরিণত’ করেছে গ্রিস, জাতিসংঘে এরদোয়ানের নিন্দা

খবরে বলা হচ্ছে, জরুরি ফোন পাওয়ার সাথে সাথে তুর্কি কোস্টগার্ডের চারটি নৌকা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এবং তাদের উদ্ধার করে। এ সময় সাগরে থাকা বাণিজ্যিক জাহাজের সহায়তা নেওয়া হয়। এক ভিডিওতে দেখা গেছে, উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য তুরস্কের নৌবাহিনীও একটি ফ্রিগেট পাঠায়।

উদ্ধার হওয়া নারী-পুরুষদের মধ্যে শিশুও রয়ছে। তাদেরকে তুর্কি কোস্টগার্ড জাহাজে করে দক্ষিণ আন্টালিয়া প্রদেশে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে। তুরস্ক গত কয়েক বছরে ১০ হাজারের বেশি শরণার্থী ও অভিবাসীকে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করেছে। অসহায় এসব মানুষ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য কিংবা আফ্রিকা থেকে পালিয়ে ইউরোপে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করছিলেন।

এজিয়ান সাগরকে কবরস্থানে পরিণত করেছে গ্রিস!

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দাবি, এজিয়ান সাগর ও ভূমধ্যসাগরে শরণার্থী ও অভিবাসীদের কবরস্থানে পরিণত করেছে গ্রিস। এজন্য তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গ্রিসের কড়া নিন্দা জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে এরদোয়ান বলেন, গ্রিস এজিয়ান সাগরকে অভিবাসীদের কবরস্থান বানিয়েছে। নির্মম ও বেআইনি পুশব্যাকের কারণে শরণার্থীদের মৃত্যু হচ্ছে। নিরপরাধ ও অসহায় মানুষকে বন্দিশালায় রেখে শরণার্থী সংকটের সমাধান হতে পারে না। তাদের পুশব্যাক করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া কোনো সমাধান নয়।

২০১৫ সালে ৩ বছর বয়সী আইলান কুর্দিকে তুরস্কের সৈকতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাটি বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় তুলেছিল। তার মৃতদেহের ছবিটি প্রমাণ করেছিল শরণার্থী সংকট কতটা প্রকট।

এরদোয়ান বলেন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধের এখনই সময়। ইউরোপ ও জাতিসংঘ এই সংকটের সমাধান করতে পারে। এরদোয়ানের প্রত্যাশা, গ্রিস তার আচরণ থেকে সরে এসে মানবতাকে প্রাধান্য দেবে।