তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবন্দি বিনিময়

ইউক্রেন ও রাশিয়া ২০০ জনের বেশি যুদ্ধবন্দি বিনিময় করেছে। এর মধ্যস্থতা করেছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান গতকাল বুধবার নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় এই ঘোষণা দিয়েছেন। এই পদক্ষেপকে তিনি দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধের একটি উপায় হিসেবে দেখছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান

এরদোয়ান বলেন, যারা যুদ্ধবিনিময় চুক্তিতে সহায়তা করেছে আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। এসময় তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এরদোয়ান মতপ্রকাশ করেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সবকিছু করতে রাজি তুরস্ক।

এদিকে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের কথা আলাদাভাবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দেশটির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধবন্দিদের মধ্যে এমন সব যোদ্ধা রয়েছে, যাদের আজভোস্টাল স্টিলওয়ার্ক দখলের সময় রাশিয়া আটক করেছিল। যুদ্ধবন্দি বিনিময় চুক্তির ফলে এখন তারা বাড়ি ফিরতে সক্ষম হয়েছে।

পুতিন ও জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের চিফ অব স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক বলেন, আমরা ২১৫ বন্দিকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি এক টেলিভিশন ভাষণে এই ঘোষণা দেন। আঙ্কারা থেকে টিআরটি ওয়ার্ল্ডের সাংবাদিক হাসান আবদুল্লাহ জানান, যুদ্ধবন্দিদের তুরস্কে আনা হয় এবং ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তুরস্কের শান্তি কূটনীতি: যুদ্ধবন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকরে তুরস্কের আন্টালিয়ায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দুবার বৈঠকে বসেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, ওই যুদ্ধবন্দি বিনিময় সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রেসিডেন্টের একান্ত ইচ্ছায়। তুরস্কের শান্তি কূটনীতির অংশ হিসেবে এই বিনিময় চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এটি তুরস্কের আরেকটি কূটনৈতিক সফলতা।

এর আগে আঙ্কারা ঐতিহাসিক শস্যচুক্তি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিয়েছে। চুক্তিটি বাস্তবায়নের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট নিরসন সম্ভব হয়েছে। এজন্য এরদোয়ান বিশ্বনেতাদের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া শস্যচুক্তির ফলে ইউক্রেনের কৃষিপণ্য কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইস্তাম্বুল প্রণালি হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।