রাশিয়ায় একদিনে ১৪০০ যুদ্ধবিরোধী আটক

রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ করায় একদিনে অন্তত ১৪০০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, এদের অনেককে জোর করে সেনাবাহিনীতে নাম লেখানো হচ্ছে। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে এসব লোকদের পাঠানো হতে পারে বলে আশঙ্কা। খবর আল জাজিরা।

মস্কোতে পুলিশের হাতে আটক এক যুদ্ধবিরোধী

ইউক্রেনে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। গত সাত মাস ধরে চলা ওই যুদ্ধে সম্প্রতি কিছুটা হটতে শুরু করেছে রুশ বাহিনী। তাই ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন করে আরও সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে এক ভাষণে পুতিন রিজার্ভ সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেন। তিন লাখ রিজার্ভ সেনাকে ডাকা হবে বলে পুতিনের ঘোষণার পরই জানা যায়, তিন লাখ অবসরপ্রান্ত সেনাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হচ্ছে। সামরিক বাহিনীতে যোগদানের জন্য এরইমধ্যে তাদের কাছে লিখিত সমন পাঠানো হয়েছে।

পুতিনের এমন ঘোষণা ও সেনাবাহিনীতে যোগদানের লিখিত সমনের বিরুদ্ধে বুধবার মস্কোসহ দেশটির অন্তত ৩৮টি শহরে বিক্ষোভে নেমে আসে যুদ্ধবিরোধীরা।

তবে ধরপাকড় চালিয়ে এসব বিক্ষোভকারীদের বেশির ভাগকেই তুলে নিয়ে গেছে রুশ আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী।

স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, বিক্ষোভ থেকে ১ হাজার ৩ শ’র বেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে রুশ পুলিশ। বিক্ষোভের সময় সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে।

রুশ মানবাধিকার সংস্থা ওভিডি-ইনফো জানায়, সব মিলিয়ে ১৪০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে মস্কো থেকে অন্তত ৫০ জনকে এবং সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে বিক্ষোভরত এক দল লোককে বাসে তুলে নিয়ে গেছে। এছাড়া সাইবেরিয়ার ইয়েকাতেরিনবার্গ থেকে একসঙ্গে ৪০জনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মস্কোর একটি স্বতন্ত্র সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশ বলছে গ্রেপ্তার বেশির ভাগই সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য সমনপ্রাপ্ত।

এসব ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভূক্ত করার নিন্দা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে দেশটি জুড়েই। তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এ ব্যবস্থা আইনের পরিপন্থি নয়।